আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এখন্য অনুকূল পরিবেশ গড়ে ওঠেনি বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে নির্বাচন বিষয়ে কর্মশালার ধারণাপত্রে এমন পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে।
ওই ধারণাপত্রে বলা হয়, ‘সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে সরকার ও কমিশনের বিষয়ে কতিপয় রাজনৈতিক দলের গণমাধ্যমে প্রচারিত অনাস্থা কাটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণের আস্থা অর্জনের প্রয়াস আমরা অব্যাহত রেখেছি। তবে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ প্রত্যাশা করা হয়েছিল—সেটি এখনো হয়ে ওঠেনি। প্রত্যাশিত সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে মতভেদের নিরসন হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধানতম দলগুলো স্ব স্ব সিদ্ধান্ত ও অবস্থানে অনড়। রাজপথে মিছিল, জনসমাবেশ ও শক্তি প্রদর্শন করে স্ব স্ব পক্ষে সমর্থন প্রদর্শনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ওতে প্রত্যাশিত মীমাংসা বা সংকটের নিরসন হচ্ছে বলে কমিশন মনে করে না। বিষয়টি রাজনৈতিক। নির্বাচন কমিশনের এ ক্ষেত্রে করণীয় কিছু নেই।’
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বর্তমান সরকারের পদত্যাগের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। এই দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎভাবে ঢাকায় ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে সরকার বরাবরের মতোই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হওয়ার কথা তুলে ধরে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অনড় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশি শক্তিগুলো সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিদেশি পর্যবেক্ষকেরাও একাধিকবার বৈঠক করেছেন। দেশের রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গেও কমিশন বৈঠক করছে।
এই প্রেক্ষাপটে ২৬ অক্টোবর গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: গণমাধ্যমের ভূমিকা, জাতির প্রত্যাশা’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করেছে ইসি। এতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে এই ধারণাপত্রটিও পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ৩৮ জন গণ্যমাধ্যম ব্যক্তিত্বকে ওই কর্মশালার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরে শেষ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় ইসি।
আরো পড়ুন : নিজ বাড়ির সামনে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা।