জাহিনুর ইসলাম- বিরামপুর, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় এবার কৃষি প্রণোদনার আওতায় ৩০ বিঘা জমিতে সূর্য্যমূখীর চাষ করা হয়েছে। ভোজ্য তেলের ঘাতটি মেটানোর লক্ষ্যে কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় ও আগ্রহী করে তুলতে কৃষি বিভাগের পরীক্ষা মূলক এই ক্ষেতে উদ্ভাসিত সূর্য্যমূখী ফুলের হলুদ হাঁসির সাথে কৃষকরাও হাঁসছেন লাভবান হওয়ার প্রত্যাশায়।
বিরামপুর পৌর এলাকার মহম্মদনগরের কৃষক আবু তাহের জানান, তিনি কৃষি বিভাগের সহায়তায় এবার সূর্য্যমূখী চাষ করেছেন। বর্তমানে হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে পুরো ক্ষেত। বিরামপুর-হাকিমপুর পাকা সড়কের পাশে এই ক্ষেত হওয়ায় প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী এখানে এসে সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন এবং অনেকে ক্যামেরাবন্দি হচ্ছেন সূর্য্যমূখীর সাথে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে তিনি কোলেস্টরেল মুক্ত সূর্য্যমূখী চাষে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন এবং এতে তিনি অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভের প্রত্যাশা করছেন। তাই সূর্য্যমূখীর হাঁসির সাথে তিনিও পুলকিত।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, সূর্য্যমূখী চাষের উপযোগি এ অঞ্চলের মাটিতে সূর্য্যমূখী চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবার সরকারী প্রণোদনার মাধ্যমে পরীক্ষা মূলক চাষাবাদের জন্য ৩০ জন কৃষককে কৃষি বিভাগ থেকে বীজ রাসায়নিক সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। ঐ ৩০ কৃষক তাদের ৩০ বিঘা জমিতে সূর্য্যমূখীর চাষ করেছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সূর্য্যমূখী চাষে কৃষকরা অধিক লাভবান হতে পারবেন এবং এটি চাষে ভোজ্য তেলের চাহিদা অনেকাংশে পুরণ হবে। সূর্য্যমূখী তেলের ব্যাপক বাজার চাহিদা রয়েছে এবং এটি কোলস্টরেল মূক্ত ও স্বাস্থ্য সম্মত উন্নত মানের ভোজ্য তেল। এছাড়া সূর্য্যমূখীর গাছ জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করে কৃষক বাড়তি ভাবে উপকৃত হতে পারবেন।
মোঃ জাহিনুর ইসলাম, বিরামপুর দিনাজপুর