সৃজনশীল কর্মের স্বীকৃতি পেলো শেখ হাসিনা’র আশ্রয়ণ প্রকল্প

ওকে নিউজ স্পেশাল জাতীয় প্রচ্ছদ লাইফ স্টাইল সফলতার গল্প হ্যালোআড্ডা

স্টাফ রিপোর্টার : ভূমি ও গৃহহীন মানুষকে আশ্রয় দেয়ার প্রকল্পকে ‘সৃজনশীল কর্ম’- হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস। কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন সনদের নাম দেয়া হয়েছে ‘আশ্রয়ণ: অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল’।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে আশ্রয়ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। এ আশ্রয়ণের মূললক্ষ্য হচ্ছে মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জীবনমানের উন্নয়ন। আশ্রয়ের মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীন আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে তিনি ২৮ লাখ মানুষকে পুনর্বাসিত করেছেন।

তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী নানাবিধ উদ্যোগ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার সহযোগিতায় এ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয়ণে আশ্রয় পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এ দূরদর্শী কাজের মাধ্যমে দেশের জনগণের দরিদ্র অথবা দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছেন তাদের জীবনমানের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পেশাগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, পুষ্টিসহ সবক্ষেত্রে আশ্রয়ণের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে।

সচিব বলেন, আশ্রয়ণ শুধু একটি ঘর নয়। মানুষ যেমন মাথাগোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন, তেমনি স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন, স্যানিটেশন পাচ্ছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সর্বশেষ দারিদ্র্য জনসংখ্যার পরিমাণটা কমেছে তার জন্য আশ্রয়ণের বিশাল একটা ভূমিকা আছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখন থেকে তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন ধরনের লেখা লিখেছেন, বিভিন্ন বক্তব্যে বলেছেন, আশ্রয়ণ নিয়ে তার ধারণা ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ আটটি লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রম করেছে। একটি ঘর দেয়ার ফলে তাদের জীবিকা হচ্ছে, নারীর জন্য জমির মালিকানা নিশ্চিত হচ্ছে, ঘরের মালিকানা নিশ্চিত হচ্ছে। তার (শেখ হাসিনা) এ ধারণাটি আমাদের একটি মৌলিক ধারণা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

আরো পড়ুন : কর্মবীরকে অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধা জানাল সর্বস্তরের মানুষ

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *