ম্যাচটা জার্মানির বাঁচা-মরার। আজ হারলেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপে কোস্টারিকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৭ গোল করা স্পেন। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে হেরেছে জার্মানি। গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট পেতে আজ জয় পেতেই হবে জার্মানদের। অন্যদিকে শেষ ষোলোর টিকিট পেতে জয়ের জন্য মুখিয়ে স্পেনও। এই যখন অবস্থা তখন ‘ই’ গ্রুপের হাইভোল্টেজ এ ম্যাচে প্রথমার্ধে গোলের দেখা পেল না কোনো দল।
দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
রবিবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে আল বায়েত স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই বল নিজেদের দখলে রেখেছে স্পেন। ম্যাচের ৭ মিনিটেই গোলের সুযোগ পায় স্প্যানিশরা। কিন্তু ড্যানি ওলমোর শট বাঁচিয়ে জার্মানিকে স্বস্তি দেন ম্যানুয়েল নয়ার।এর ৩ মিনিট পর সুযোগ এসেছিল জার্মানিরও। লিও গোরেৎজকা স্পেনের ডিফেন্সের বুক চিরে মাঝখান দিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে যান। ন্যাব্রিকে লক্ষ্য করেন গোরেৎজকা। ন্যাব্রি বক্সে প্রবেশ করেন এবং সাইমনকে টপকে বলটি গোলে ঢোকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শটটি ব্লক করে স্প্যানিশ কিপার। তবে রেফারি অফসাইডের জন্য বাঁশি বাজান। ২৬তম মিনিটে জার্মান গোলরক্ষকের ভুলে বড় বিপদে পড়তে বসেছিল হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। কিন্তু তোরেসের দুর্বল শটে রক্ষা পায় জার্মানি।
ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে সেট পিস থেকে গোল করেছিলেন জার্মানি ডিফেন্ডার রুডিগার। যদিও জার্মান শিবিরে স্বস্তি এল না। ভিএআরে অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়ে যায়।
বিশ্বকাপে এর আগে দুই দল চারবার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে জামার্নি তিন ম্যাচে ও স্পেন এক ম্যাচ জিতেছে। শেষবার দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল ২০১০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে স্পেন ফাইনালে উঠেছিল।
আজকের ম্যাচে জার্মানি দুইটি পরিবর্তন এনেছে। জাপানের কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচে খেলা শ্লোটারবেক ও হাভেটস বাদ পড়েছেন। দলে এসেছেন কেহরের ও গোয়েতজা। স্পেনও একটি পরিবর্তন এনেছে। কারভাহালের পরিবর্তে এসেছেন আজপিলিকুয়েটা।
অোরো পড়ুন : নেইমার সুখী হলে দুঃখ কোথায় যাবে?