আয়ুর্বেদ শব্দটি হলো দুটি সংস্কৃত শব্দের সংযোগে সৃষ্টি-যথা ‘আয়ুষ’, অর্থাৎ ‘জীবন’ এবং ‘বেদ’ অর্থাৎ ‘বিজ্ঞান’। যথাক্রমে আয়ুর্বেদ শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় ‘জীবনের বিজ্ঞান’। এটি এমনই এক চিকিৎসা পদ্ধতি যাতে রোগ নিরাময়ের চেয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রতি বেশি জোর দেওয়া হয়। তবে রোগ নিরাময় ব্যবস্থা করাই এর মূল লক্ষ্য। যা একমাত্র সম্ভব প্রাকৃতিক গাছের ফুল, মূল, ফল বা ভিবিন্ন উদ্ভিদের নির্জাস শরীরে প্রবেশ করানোর মাধ্যমে। প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাস্থ্যই সুখের মূল চাবিকাঠি হিসেবে দরে রাখতে একজন মানুষের শরীরে পরিমানমতো প্রোটিন, এমাইনো এসিড, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিংক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশেষ প্রয়োজন। শরীরের এই প্রয়োজনীয় সমস্যার সমাধানে মধু, সজনে পাতা, চিয়া সীড, সোনা পাতা, অর্শ্বগন্ধা এবং শতমূলের সমন্বয়ে এক মাসের একটি প্যাকেজ নিয়ে আসছে “ভেসজ সুপার ফুড”। আজ ওকে নিউজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডট কম (oknews24bd.com) এর পাঠকদের জানাব আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের নয়নমণি অশ্বগন্ধা এর উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক এবং সেটি খাওয়ার নিয়ম।
অশ্বগন্ধা বা উইন্টারচেরী ( Winter cherry) কে বলা হয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের নয়নমণি, যার উপকারিতা হাতে গুণে শেষ করা যাবে না। প্রায় ৩০০০ বছর ধরে অশ্বগন্ধা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি ভেষজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম ওইদেনিয়া সোমনিফেরা (Withania Somnifera)। সোমনিফেরা একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ ঘুমের উপর প্রভাব বিস্তারকারী। অসাধারণ কার্যকারিতার জন্য অশ্বগন্ধাকে ইন্ডিয়ান জিনসেং হিসেবেও অভিহিত করা হয়। নিয়মিত খেলে অশ্ব বা ঘোড়ার মতো শক্তি বৃদ্ধি হয়।
ধারণা করা হয় অশ্বগন্ধার ব্যবহার শুরু হয়েছে আজ থেকে প্রায় ৬০০ খ্রিস্টাব্দ বা তারও আগে থেকে। এটি হল একটি ভেষজ উদ্ভিদ। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বর্তমানে মানবদেহে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের অবদান প্রচুর। অশ্বগন্ধা মূলত ক্লান্তি, নানা ধরণের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করা সহ একাধিক পদ্ধতিতে কাজ করে। অশ্বগন্ধার আরেক নাম হল এডাপ্টোজেন, যার মানে হলো অশ্বগন্ধা আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
অশ্বগন্ধার এত সব ধরণের গুণের কারণ হলো এতে উপস্থিত থাকা ফাইটোকেমিক্যাল উপাদান। শোনা যায় সঠিক পরিমাণে অশ্বগন্ধার ব্যবহার নাকি ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও কার্যকরী ফলাফল দেয়। বর্তমানে এটি সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় ভারত, পাকিস্তান, স্পেন, আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্য এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে। প্রাচীনকাল থেকেই এই গাছের ফল, বীজ, পাতা ও শিকড় আয়ুর্বেদিক ঔষুধ তৈরী করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এখনও পর্যন্ত অশ্বগন্ধার নির্যাসে ৩৫ ধরণের ফাইটোকেমিক্যাল উপাদান আছে বলে জানা গেছে। অশ্বগন্ধায় উপস্থিত আছে অ্যালকালয়েড, স্ট্রেরয়ডাল ল্যাক্টনস, ট্যানিনস, স্যাপোনিনস এই সব উপাদান যা ক্যান্সার, স্ট্রেস, বার্ধক্যজনিত প্রভাব, যৌনক্ষমতা সংক্রান্ত ও প্রদাহ জনিত সমস্যার বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এছাড়াও অশ্বগন্ধায় উপস্থিত রয়েছে উইথাফেরিন এ, ডি, ই, উইথানন, উইথাননোলাইড হল বায়োঅ্যাক্টিভ পর্দাথ।
বহু সমস্যার সমাধান এই অশ্বগন্ধার উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না। আসুন অশ্বগন্ধার কিছু উপকারিতা সংক্ষেপে জেনে নেইঃ
অশ্বগন্ধা কীভাবে কাজ করেঃ
☘️শুক্রাণু বাড়াতে অশ্বগন্ধার নাম বহুল প্রচলিত। এ গাছের রস শক্তিবর্ধক
☘️ঘুমানোর আগে অশ্বগন্ধা গুঁড়ো চিনিসহ খেলে তা ভালো ঘুমের সহায়ক হিসেবে কাজ করে
☘️অশ্বগন্ধার মূল গুঁড়ো সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে
☘️ অশ্বগন্ধার পাতা ও মূল স্নায়ুবিক বিভিন্ন রোগের সমাধান হিসেবে কাজ করে। অনিদ্রা সমস্যায় ভুগলে অশ্বগন্ধা উত্তম ওষুধ হিসাবে কার্যকর হতে পারে। এছাড়া দুধ ও ঘি এর সঙ্গে অশ্বগন্ধার পাতা ফুটিয়ে খেলে শরীরে বল পাওয়া যায়
☘️চোখের ব্যথা দূর করতে বিশেষ উপকারী
☘️ ক্রনিক ব্রংকাইটিসের ক্ষেত্রেও একটি কার্যকর ওষধু হল অশ্বগন্ধা
☘️অশ্বগন্ধা মাথা ঝিমঝিম করে ওঠা, সংজ্ঞাহীনতা, অবসাদ প্রভৃতি সহ নানা মানসিক ও শারীরিক সমস্যা দূর করতে সহায়ক। মনোযোগ বাড়ায়। ক্লান্তি দূর করে সঞ্জীবনী শক্তি পুনরুদ্ধার করে
☘️হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অশ্বগন্ধা অনেক উপকারী। অম্বল-অজীর্ন, পেট ফাঁপা এবং পেটের ব্যথা নিরাময় সহ যকৃতের জন্য ভীষণ উপকারী অশ্বগন্ধার ফল। তবে অশোধিত অশ্বগন্ধা গুঁড়ো বা পাউডার হজমে গোলমাল সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। সুতরাং যাদের হজমশক্তি দুর্বল, তাদের অবশ্যই ভালো মানের অশ্বগন্ধা সংগ্রহ করে সেবন করতে হবে
১. অনিদ্রা দূর করে: আমরা আগেই জেনেছি ক্লান্তি দূর করে স্নায়ুকে আরাম প্রদান করতে অশ্বগন্ধা খুবই কার্যকারী একটি ঔষধি ভেষজ। এর ফলে ঘুম খুব ভাল হয়। বিভিন্ন গবেষণার থেকে জানা যায় যে, অশ্বগন্ধা ব্যবহার করলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
২. স্ট্রেস কমায়: অশ্বগন্ধায় অ্যানজাইলটিক উপাদান উপস্থিত থাকে বলে এটি মানসিক চাপকে কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।অর্থাৎ এটি স্নায়ুতন্ত্রের ওপর কাজ করতে সক্ষম। আপনি যদি খুব ভয় পেয়ে যান কোনো কারণে তাহলে প্যানিক অ্যাট্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে, এই সমস্যা এড়াতে অশ্বগন্ধা সাহায্য করে।
৫. যৌনক্ষমতা বাড়ায়: এটি প্রমাণিত যে অশ্বগন্ধা শরীরে টেস্টোস্টেরন ও প্রোজেস্টেরনের পরিমান বাড়াতে পারে। ফলে যৌন মিলনের ইচ্ছে বাড়ে। প্রাচীনকাল থেকেই ছেলেদের যৌনসমস্যা দূর করতে অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা হয়।
৬. রক্তে টেস্টোস্টেরনের মাত্র বাড়ায়: বিজ্ঞানীরা প্রমান করেছে অশ্বগন্ধা রক্তে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়াতে পারে। টেস্টোস্টেরনকে বলা হয় সেক্স হরমোন। এটি পুরুষের লিঙ্গ দৃঢ় করে এবং কামাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করে। পুরুষদের বয়স বাড়তে থাকলে তাদের দেহে টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পায়। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে রক্তে টেস্টোস্টেরন উৎপাদন কমে যেতে পারে। অশ্বগন্ধা লুটেইনিজিং হরমোন এবং টেস্টোস্টেরনের সিরামের মাত্রা বৃদ্ধি করে, ফলে পুরুষের যৌন হরমোনগুলির প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে বজায় থাকে। অশ্বগন্ধা করটিজলের বৃদ্ধি রোধ করে স্ট্রেস হ্রাস করতে পরিচিত, করটিজল প্রাকৃতিক টেস্টোস্টেরন উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করে।
৭. সহনশীলতা বাড়ায়: অশ্বগন্ধা শারীরিক পারফরম্যান্সকে আরও উন্নত করার পাশাপাশি যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও করাতে কাজ করে। নিয়মিত অশ্বগন্ধা সেবনের ফলে ধৈর্য্যশীলতা, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ ও সহনশীলতা প্রভৃতির উন্নতি ঘটে।
৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: অশ্বগন্ধায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান থাকার ফলে এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।
৯. থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে: হাইপোথাইরয়েডের অর্থাৎ যাদের শরীরে থাইরয়েড হরমোনের পরিমান কম থাকে তাদের এই সমস্যা দূর করতে ব্যবহৃত হয় অশ্বগন্ধা। শরীরে থাইরক্সিন হরমোনের পরিমান বাড়ায় এই অশ্বগন্ধা।
১০. চোখের সমস্যা কমাতে: প্রাচীনকালে চোখের স্বাস্থ্য ভালো করতে অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা হত বলে জানা যায় ।
১১. আর্থ্রাইটিস সারাতে: আর্থ্রাইটিস এর ব্যথার তীব্রতা কমাতে অশ্বগন্ধার গুঁড়ো খুবই উপযোগী। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আর্থ্রাইটিস সারাতে অশ্বগন্ধা ব্যবহৃত হয়।
১২. ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে: অশ্বগন্ধা ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকর ফলাফল দেয়।আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মতে অশ্বগন্ধার পাতা ও মূলের নির্যাসে উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যালস টিউমার কোষকে ধ্বংস করতে ও সেই কোষে রক্ত সরবারহ বন্ধ করে দেয় ।ক্যান্সারের সময় কেমোথেরাপির মধ্যে দিয়ে যাদের যেতে হয়, তাদের জীবনের মানের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে অশ্বগন্ধা।
১৩. ডায়াবেটিসের সমস্যা কমাতে: অশ্বগন্ধার মূল ও পাতার নির্যাস অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান থাকে। এই অংশের কোষে যে ফ্ল্যাভোনয়েডস থাকে তা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষদের শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও অশ্বগন্ধা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে লিপিডের পরিমান ঠিক রাখতে সাহায্য করে বলে জানা গেছে।
১৪. স্মৃতিশক্তি উন্নত করে: যাদের অ্যালজাইমারস রোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রেও অবস্থার উন্নতিতে অশ্বগন্ধা কাজ করে।
১৫. পেশী মজবুত করে: অশ্বগন্ধা পেশী মজবুত করতে যে কার্যকরী ফলাফল দেয়। পেশিতে কোনো আঘাত পেলে সেটি তা সারাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ব্যায়াম করার ফলে পেশিতে যে চাপের সৃষ্টি হয় তা কমাতেও অশ্বগন্ধা ব্যবহৃত হয়।
১৬. ইনফেকশন থেকে বাঁচায় অশ্বগন্ধা: অশ্বগন্ধার নানা ধরণের ইনফেকশন থেকে আমাদের বাঁচাতে সাহায্য করে কারণ এর পাতা ও মূলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এর মত উপাদান।
১৭. হার্টের সুরক্ষায় অশ্বগন্ধা: আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল সঠিক রেখে আমাদের হার্টকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে অশ্বগন্ধা।
১৮. শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে : অনেকে মনে করেন অশ্বগন্ধার মূলের গুঁড়ো শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, কিন্তু এটি এখনও প্রমানিত নয়।
১৯. অবসাদ কমাতে: অশ্বগন্ধায় অ্যাড্যাপটোজেন থাকায় এর নির্যাস অবসাদ ও মনের উদ্বেগ কমাতে উপযোগী।
২০. খুশকি কমাতে: বেশিরভাগ খুশকি কমানোর শ্যাম্পুতে অশ্বগন্ধা থাকে কারণ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো দিয়ে তৈরী তেল ও শ্যাম্পু খুশকি কমাতে অনবদ্য কাজ করে।
২১. অকালে চুল পাকা আটকাতে: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী অশ্বগন্ধা গাছের নির্যাস অকালে চুল পাকা আটকাতে খুবই উপকারী।
২২. চুলকে মজবুত করতে: চুলকে ঝলমলে ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অশ্বগন্ধাকে খুবই উপযোগী বলে মানা হয়।
২৩. বার্ধ্যকের ছাপ দূর করতে: আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মনে করা হয় অশ্বগন্ধা গাছের নির্যাস বার্ধ্যকের ছাপ পড়তে দেয় না।
২৪. ক্ষত সারাতে: অশ্বগন্ধার ভিতর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকার ফলে এটি শরীরের ক্ষত সারাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
২৫. কর্টিসল লেভেল কমাতে: মানব শরীরে অ্যাডরিনালিন গ্ল্যান্ডের কোনো সমস্যা থাকলে রক্তে কর্টিসলের পরিমান কম বেশি হয়, এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে অশ্বগন্ধা ভালো সাহায্য করে।
২৬. মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে: অশ্বগন্ধার হল এডাপ্টোজেন যার অর্থ হল অশ্বগন্ধা আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই এটি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সক্ষম।
২৭. ত্বকের ইনফেকশন ঠিক করতে: অশ্বগন্ধার পাতা এবং মূলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার ফলে এটি ত্বকের ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে।
অশ্বগন্ধার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এতক্ষণ অশ্বগন্ধার উপকারিতা গুলো জানার পর চলুন এবার অশ্বগন্ধার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো সম্পর্কে জানা যাক। অশ্বগন্ধার তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বলেই জানা যায়। তবে নিয়িমিত অনেকদিন ধরে ব্যবহার করলে হয়তো শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা, ঝিমিয়ে পড়া, ব্লাড প্রেসার কমতে পারে ও অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। ডাক্তারের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করে নেবেন এটি ব্যবহার করা শুরু করার আগে ।
অশ্বগন্ধার ভেষজ গুনাগুণ সম্পর্কে তো জানলেন, তাহলে বুঝতেই পারছেন এটি শরীরের পক্ষে কতটা স্বাস্থ্যকর। তাহলে এখন থেকে নিশ্চয়ই ব্যবহার করা শুরু করবেন।
অশ্বগন্ধা’ খুচরা মূল্য তালিকা
১০০ গ্রাম= ১৫০টাকা
২০০ গ্রাম= ২৭৫টাকা
২৫০ গ্রাম= ৩৫০টাকা
৪০০ গ্রাম= ৪৫০টাকা
৫০০ গ্রাম= ৬০০টাকা
১০০০ গ্রাম= ১০৫০টাকা
চিয়া সীড এর খুচরা মূল্য তালিকা
১০০ গ্রাম=১০০টাকা
২০০ গ্রাম=১৮০টাকা
২৫০ গ্রাম=২২০টাকা
৪০০ গ্রাম=৩৫০টাকা
৫০০ গ্রাম=৪৩০টাকা
১০০০ গ্রাম=৮২০টাকা
সুপার ফুড সজনে পাতার গুড়া খুচরা মূল্য তালিকা
১০০ গ্রাম=১০০টাকা
২০০ গ্রাম=১৮০টাকা
২৫০ গ্রাম=২২০টাকা
৪০০ গ্রাম=৩৫০টাকা
৫০০ গ্রাম=৪৩০টাকা
১০০০ গ্রাম=৮২০টাকা
খাঁটি মধুর খুচরা মূল্য তালিকা
খাটি সরিষা ফুলের মধু ১০০০ গ্রাম=৬০০টাকা
খাটি লিচু ফুলের মধু ১০০০ গ্রাম=৭০০টাকা
খাটি চাকের মধু ১০০০ গ্রাম=৮০০টাকা
খাটি পাহাড়ি চাকের মধু ১০০০ গ্রাম=৯০০টাকা
খাটি বড়ই ফুলের মধু ১০০০ গ্রাম=১০০০টাকা
খাটি সুন্দর বনের মধু ১০০০ গ্রাম=১০০০টাকা
খাটি কালজিরা ফুলে মধু ১০০০ গ্রাম=১২০০টাকা
আরো পড়ুন: অশ্রুসিক্ত নওয়াজকে আবেগময় অভ্যর্থনা জানাল মেয়ে, ভাই আর নেতাকর্মীরা