স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ নির্ধারণ করা প্রজ্ঞাপন জনস্বার্থ পরিপন্থি বলে কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া প্রতিযোগিতামূলক বিমান ভাড়ার ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী বহনে সকল আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সকে সুযোগ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এবং হজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (হাব) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ২২শে মার্চ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা থেকে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমিয়ে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা থেকে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমিয়ে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর কোরবানি ছাড়াই এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর আগের বছরে যা ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭শে জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী এ বছর হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন নির্ধারিত হয়েছে। যার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করতে যেতে পারবেন।
আরো পড়ুন : নতুন দেশে বৈদেশিক কর্মসংস্থান খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ