হঠাৎ প্যারিসে উদয় হলেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই

তথ্য-প্রযুক্তি পুরুষ প্রচ্ছদ প্রবাস বিনোদন হ্যালোআড্ডা

স্টাফ রিপোর্টার : রীতিমতো সিনেম্যাটিক চরিত্র। খুন, প্রেম, নায়িকা- কিসে আলোচনায় আসেননি তিনি। গডফাদার, অপরাধ দুনিয়ার ডন। কতো নামেই না খবর হয়েছিলেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। আড়ালে ছিলেন বছরের পর বছর। ছিলেন ব্যাংককে। হঠাৎ উদয় হলেন প্যারিসে। সম্প্রতি সেখানে এক রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গেছে তাকে। বলাবলি আছে, আড়াইশ’ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে ওই আয়োজনে। অনুষ্ঠানের কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

তার মধ্যে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ছবি দেখে চমকে উঠেছেন অনেকে। যদিও চেহারায় এসেছে বেশ পরিবর্তন।

আজিজ মোহাম্মদ ভাই শিরোনাম হয়েছেন বারবার। ১৯৯৮ সালের ১৮ই ডিসেম্বর খুন হন চিত্রনায়িকা দিতির স্বামী নায়ক সোহেল চৌধুরী। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে আজিজ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে। এ মামলাতেই ১৯৯৯ সালের ৬ই জানুয়ারি পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে। পরে মুক্তি পেয়ে চলে যান আড়ালে। খুনের অভিযোগ এটিই অবশ্য তার বিরুদ্ধে প্রথম নয়। জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুর পরও অভিযোগ উঠে আজিজের বিরুদ্ধে।

আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের পরিবার ১৯৪৭ সালে ভারতের কানপুর থেকে পুরান ঢাকায় আসে। তারা মূলত ‘শিয়া’ সম্প্রদায়ের। ১৯৬২ সালে আরমানিটোলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের জন্ম। ইস্পাতের ব্যবসা ছিল তার বাবা মোহাম্মদ ভাইয়ের। অলিম্পিক ব্যাটারি, অলিম্পিক বলপেন, অলিম্পিক ব্রেড, এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস, এমবি ফিল্মসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের উত্তরাধিকারসূত্রে মালিকানা পান আজিজ মোহাম্মদ ভাই। অল্প বয়সে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে ভোগবিলাসে মত্ত হন তিনি। গুলশানের বাড়িতে নিয়মিত আয়োজন করতেন পার্টির। এসব পার্টিতে বাংলাদেশের নায়িকা, মডেলদের যাতায়াত ছিল অবাধ। মুনমুন সেন, মমতা কুলকার্নির মতো অভিনেত্রীদের পা-ও পড়েছিল সে বাড়িতে। ১৯৯৬ সালে শেয়ার কেলেঙ্কারি ঘটনায়ও উঠে আসে তার নাম। সে সময় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল। এখন থাইল্যান্ড, হংকং ও সিঙ্গাপুরে তার ব্যবসা থাকার কথা জানা যায়। মুম্বইয়ের ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের আলোচনাও রয়েছে।

আরো পড়ুন : ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের পর অনিশ্চয়তায় নতুন মাত্রা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *