আতিকুর রহমান নগরী : ক্ষণস্থায়ী এ দুনিয়াতে জীবিকা নির্বাহের জন্য আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে দ্বিধা করি না। অনেক সময় ঘাম ঝরানো পরিশ্রম করেও মজুরি পেতে বিলম্ব হয়। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত আমাদের ওপর যে দায়িত্ব তা পালনে আমরা বিলম্ব করে থাকি। অথচ এর প্রতিদান দিতে মহান আল্লাহ একটুও বিলম্ব করেন না। হাদিস শরীফে দুনিয়াকে আখেরাতের শস্যক্ষেত্র বলা হয়েছে।
আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন ফেরেশতাদের বলেন যে, শ্রমিক আপন দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে, তার বিনিময় হিসেবে সে কি পেতে পারে? উত্তরে ফেরেশতারা বললেন, হে আল্লাহ আমরা চাই তার যেন যথাযোগ্য মজুরি দেয়া হয়। তখন আল্লাহপাক বলেন হে ফেরেশতারা তোমরা সাক্ষী থেকো, আমার রেজামন্দি তথা সন্তুষ্টি এবং ক্ষমা তাদের জন্য রইলো। আবার তিনি বান্দাদের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন যে, হে আমার প্রিয় বান্দাগণ! তোমরা প্রার্থনা কর। আমার বুজুর্গীর কসম আখেরাতের ব্যাপারে সকল চাহিদাই আমি পূর্ণ করবো। আর দুনিয়ার ব্যাপারে যা তোমাদের জন্য মঙ্গল তা মঞ্জুর করবো।
আমার ইজ্জতের কসম, যতক্ষণ আমার প্রতি দৃষ্টি রাখবে, ততক্ষণে আমি তোমাদের পাপরাশিকে গোপন রাখবো এবং পাপিষ্ঠ কাফিরদের সম্মুখে তোমাদিগকে লাঞ্ছিত করবো না। সুতরাং ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন করো। খুশি করেছো, আমিও তোমাদের প্রতি রাজি এবং খুশি। ফেরেশতাগণ এ দৃশ্য দেখে আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠেন। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন ঈদের দিনকে বেহেশতে পুরষ্কারের দিন বলে অভিহিত করা হয়। রমজানের রোজার আদর্শ যারা পূর্ণাঙ্গ রূপে পালন করে তাদের ঈদ পালনে যে প্রশান্তি ও তৃপ্তি তাকে বাস্তবিকই আল্লাহ প্রদত্ত পুরস্কারই বলা চলে। অতএব রমজানুল মোবারকের সক্রিয় আদর্শে ও স্বাতন্ত্র্যে মাগফিরাতের দিবস আমাদের নিকট চির ভাস্বর।
আরো পড়ুন : নীরব চাঁদাবাজি চট্টগ্রামে; ভ্রাম্যমাণ দোকানে প্রতিদিনের চাঁদা ৩৯০ টাকা!