গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করার সময় শেষ হয়ে গেছে। এরই মধ্যে এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। বিবিসির ইন্টারন্যাশনাল এডিটর জেরেমি বোয়েন এ কথা লিখেছেন। তিনি বলেছেন, তবে এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধ তুলনামূলক কম মাত্রায় আছে। আঞ্চলিক যুদ্ধগুলোর ভয়াবহতার তুলনায় এই যুদ্ধ কম মাত্রায় ছড়িয়েছে। লন্ডনে মন্ত্রীরা বলেছেন, ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের হামলা শুধুমাত্র সামুদ্রিক চলাচল ও বিশ্ব বাণিজ্যের স্বাধীনতার জন্য নয়। এর সঙ্গে গাজা যুদ্ধের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। সেখান থেকেই এই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এ অঞ্চলকে গ্রাস করেছে এই সংকট। হামলার পর হুতিরা অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
এমনিতেই এ অঞ্চলে বিশেষ করে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানপন্থি উগ্রবাদীরা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর বিরুদ্ধ অবস্থানে। ফলে দ্রুত ইয়েমেনের এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে এবং মার্কিন বাহিনী প্রতিশোধ নেয় তাহলে ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়ানোর মার্কিন কূটনীতি কঠিন অবস্থায় পড়বে। উল্লেখ্য, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ বড় রকম রাজনৈতিক শক্তিও হয়ে উঠেছে।
মিত্র এবং প্রক্সি প্রতিরোধের কথিত চক্রের নেটওয়ার্কের অংশ হুতিরা। নিজেদের শত্রুদের বিরুদ্ধে তাদেরকে লাগিয়ে দিয়েছে ইরান। তারা ইরান থেকে স্পর্শকাতর বা অত্যাধুনিক অস্ত্র পাচ্ছে। হুতিকে তেহরানের প্রক্সি হিসেবে দেখার চেয়ে মিত্র হিসেবে দেখাই উত্তম। জেরেমি বোয়েন লিখেছেন, ইয়েমেনে হুতিদের সঙ্গে কিছুটা সময় একান্তে কাটিয়েছি। তারা মানসিকভাবে উচ্চ মাত্রায় স্বাধীন বলে মনে করে নিজেদের। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চায়। এই যুদ্ধের অংশ হতে চায় তারা। তাদের সক্ষমতাকে বৃদ্ধি করেছে ইরান। তাদেরকে অস্ত্র দিয়েছে। এর মধ্যে আছে জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ড্রোন হামলার পাশাপাশি এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের দিকে ছুড়েছে তারা। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য একই রকম অস্ত্র রাশিয়াকে দিয়েছে ইরান। ফলে ইউক্রেন অস্ত্রের দিক দিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে।
আরো পড়ুন : রমজানে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী