১২ কোটি টাকায় হাসিনা সরকারের কাছে বিবেক বিক্রি করে দেইনি

পুরুষ প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, গত সরকারের আমলে শেখ হাসিনা টেলিফোন করে আমাদেরকে নির্বাচনে যেতে অনুরোধ করেছেন। গণভবনে নিয়ে গেছেন, গণভবনে গিয়ে আমরা মাথা বিক্রি করে দেইনি, বিবেক বিক্রি করে দেইনি। তিনি বলেন, ১২ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু আমরা পরিষ্কার ভাবেই বলেছি, বাংলাদেশের মানুষ এরকম একটি রাজনৈতিক সংকটকালীন সময় আমাদের মতো তরুণদের নিয়ে আশাবাদী ছিল। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে তরুণরা আগামীতে একটা ভালো কিছু করতে পারবে। আমরা যদি বিক্রি হয়ে যাই তবে মানুষ হতাশ হবে, যে এই দেশে আর কিছু হবে না। যে কারণেই এই স্রোতের বিপরিতে প্রতিকূল সময়ে অপসহীন থেকে এই পট পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে গেছি। ভবিষ্যতেও কোনো আপস করব না বলেন নূর।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী গণ অধিকার পরিষদের জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হক নূর এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন ‘এই গণ আন্দোলন আমরা করেছিলাম। সেটার জন্য আমরা হামলা মামলার শিকার হয়েছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ বছর পর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আমি ভিপি নির্বাচিত হয়েছি, কিন্তু নির্বাচিত হয়ে ২৫ বার হামলা মামলার শিকার হয়েছি।’ ভিপি নূর তার বক্তব্যের শেষ দিকে দু-একটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড নিয়েও কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘পটুয়াখালীর মতো দেশের বিভিন্ন এলাকায় দু-একটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের উৎপাত শুরু হয়েছে। তারা বিভিন্ন জনকে হামলার হুমকি দিচ্ছে। সাংবাদিকদের হয়রানি করছে, ঢালাও ভাবে আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিচ্ছে। মামলাবাণিজ্য শুরু হয়েছে। আন্দোলন করল ছাত্র-জনতা আর এরা শুরু করেছে হামলা-মামলা, মিষ্টি খাওয়ার ব্যবসা। এরা যে মাথা গজিয়েছে, তা এখনই ভেঙে দিতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক শাহআলমসহ গণ অধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সাংগঠনিক সফরে গত তিন দিন ধরে নুরুল হক নূর পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সফর করে সমাবেশ করছেন।

আরো পড়ুন : সাবেক গৃহহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির গ্রেফতার

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *