স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ৭ই জানুয়ারি এক ব্যক্তির ইচ্ছায় নির্বাচন হচ্ছে, ১২ কোটি ভোটারের ফলাফলও এক ব্যক্তির ইচ্ছায় নির্ধারিত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার সবসময় সংবিধানের দোহাই দেয়, এখন তারা নিজেরাই সংবিধান লঙ্ঘন করে ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও চাপ দিচ্ছে, ভাতাকার্ড ও ভোটার আইডি কার্ড বাতিলের হুমকি দিচ্ছে। নজিরবিহীনভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের পোস্টাল ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডামি প্রার্থীর পর এখন ডামি ভোটার সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। প্রহসনের এই নির্বাচন বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গতকাল সকালে গুলশানের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
লিখিত বক্তব্যে মঈন খান বলেন, ৭ই জানুয়ারির একতরফা ও ভাগ-বাটোয়ারার যে নির্বাচনকে নিয়ে দেশে-বিদেশে হাস্যরস ও সমালোচনা চলছে শেখ হাসিনা সরকার নিজ দায়িত্বে ও মরিয়া হয়ে প্রতিদিন সেটিকে প্রহসন ও সহিংসতার নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। ডামি প্রার্থী ও ডামি দল উৎপাদন করেই ক্ষান্ত হয়নি, এখন তারা নজর দিয়েছে জোরপূর্বক ডামি ভোটার সৃষ্টিতে।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ ৬২টি গণতন্ত্রমনা দলের পাশাপাশি তথাকথিত নির্বাচনকে একযোগে বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশের সকল শ্রেণি-পেশার ভোটার প্রতিটি বিবেকবান ও সচেতন নাগরিক। দিশাহারা হয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে, বানরের পিঠা ভাগাভাগির এই বিকৃত আয়োজনকে অবৈধ সরকার ‘অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন’ হিসেবে দেখাতে চাচ্ছে। তাই আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের চিহ্নিত অংশ মিলে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, মিথ্যা ও প্রতারণামূলক ভোটার উপস্থিতি উপস্থাপনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও আজ্ঞাবহ রাষ্ট্রযন্ত্র অজস্র অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উদ্যোগ নিয়েছে, যার মাঝে নির্বাচিত ১০টি উদাহরণ আমরা আস্তে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
(১) অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্যি, পাতানো নির্বাচনে কিছুটা বৈধতা অর্জনের জন্য সমাজের খেটে খাওয়া ও তৃণমূল জনগোষ্ঠীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অপচেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ।
আরো পড়ুন : আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সিইসি