নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা থেকে গত ১৫ বছরে একাই ১ হাজার মোটরসাইকেল চুরি করেছেন খালেক হাওলাদার ওরফে সাগর আহম্মেদ। গ্রেফতার করার সময়ও তার কাছ থেকে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবি জানায়, গত মাসে তুরাগ এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় মামলা হয়। ওই মামলা তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, মোটরসাইকেল চোর নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছেন। গোয়েন্দা পুলিশ চোরের অবস্থান শনাক্ত করে মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে খালেককে গ্রেফতার করে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কাগজপত্র নেই এমন মোটরসাইকেল কেনা অবৈধ। কাগজপত্রবিহীন চোরাই মোটরসাইকেল কিনলে তাদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোটরসাইকেল চুরি রোধ করাই যাচ্ছে না। বাসার গ্যারেজ, রাস্তা কিংবা অফিস থেকেও তালা ভেঙে অনেকের মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গ্রেফতার খালেকের আরও সাত-আটজন সহযোগী রয়েছেন। যারা মোটরসাইকেল চুরির মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। জেল থেকে বেরিয়ে তারা একইভাবে চুরি করেন। এ চোরচক্রের সদস্যরা প্রথমে কোনো একটি বাসায় মোটরসাইকেল থাকলে সেটি টার্গেট করেন। ওই বাসার গ্যারেজের তালা ভাঙেন। এরপর মোটরসাইকেলের তালা খুলে নিয়ে যান। গ্রেফতার খালেক একসময় চাঁদপুরে মোটরসাইকেলের মেকানিকের কাজ করতেন। তখন চোরচক্রের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং মোটরসাইকেল চুরি চক্রে জড়িয়ে পড়েন।
ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির পর ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও হাওর অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কম দামে বিক্রি করেন তারা। খালেক গত ১৫ বছরে ১ হাজার মোটরসাইকেল ঢাকা থেকে চুরি করেছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুরের শাহরাস্তি পূর্ব বাজারের একটি গ্যারেজ থেকে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। একই চক্রের কাছ থেকে গত মাসে আরও ৪০টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন : রমজান সামনে রেখে টিসিবির জন্য কেনা হচ্ছে ১ কোটি ৬৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল