একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুতর এবং বিস্তৃত শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ব্রিকস গ্রুপের ভার্চ্যুয়াল সামিটে মঙ্গলবার দেয়া বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। বলেন, দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করাকে প্রত্যাখ্যান করে সৌদি আরব। একই সঙ্গে ইসরাইলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার জন্য সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তার ভাষায়, আমরা অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলের সামরিক অপারেশন বন্ধের দাবি জানাই।
মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, গাজা উপত্যকায় সঙ্কট সৃষ্টির পর থেকেই সেখানকার সাধারণ মানুষদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অক্লান্ত কাজ করেছে সৌদি আরব। একই সঙ্গে ওই ভূখণ্ডে অবিলম্বে ত্রাণ পৌঁছানোর দাবি জানানো হয়েছে। এ পর্যন্ত গাজায় আশ্রয়ের উপকরণ, খাদ্য, অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন রকম ত্রাণবাহী ১৫টি বিমান পাঠিয়েছে সৌদি আরব। গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ত্রাণ পৌঁছাতে স্থাপন করা হয়েছে একটি সামুদ্রিক ব্রিজ।
ওদিকে ব্রিকসের এই ব্যতিক্রমী সামিটের চেয়ার গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার অভিযোগ তোলেন। এতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, ফিলিস্তিনি নিরীহ মানুষের ওপর সামষ্টিক শাস্তি দিতে ইসরাইল বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করছে। এটা যুদ্ধাপরাধ। ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার বাসিন্দাদের জন্য ওষুধ, জ্বালানি, খাদ্য ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া গণহত্যার সামিল।
আরো পড়ুন : আজ ২২ নভেম্বর: আজকের দিনে জন্ম-মৃত্যুসহ যত