সরকারের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট আইএমএফ বাংলাদেশকে দেওয়ার জন্য ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাবটি এ মাসেই অনুমোদনের জন্য বোর্ড সভায় উপস্থাপন করতে পারে। তার আগে আন্তর্জাতিক এই মুদ্রা তহবিলের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছেন, যারা যাবেন পদ্মা সেতু পরিদর্শনে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, সংস্থাটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিস আন্তিনেত সায়েহ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকছেন। ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় নেমে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সূত্র জানায়, আইএমএফের ডিএমডি ১৬ জানুয়ারি পদ্মা সেতু পরিদর্শনে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। তবে ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের দিন নির্ধারণ হওয়ায় পদ্মা সেতু পরিদর্শনের সময় দুই দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি পদ্মা সেতু পরিদর্শনে যাবেন আইএমএফের ওই কর্মকর্তা। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু বিষয়ে আইএমএফ কর্মকর্তাকে অবহিত করার জন্য সেতু বিভাগে একটি চিঠিও পাঠিয়েছে অর্থ বিভাগ।
ঋণ প্রস্তাব বোর্ড সভায় উঠতে পারে ৩০ জানুয়ারি : বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদনের আগে সরকারের কাছে শর্ত বাস্তবায়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকার চেয়েছিল আইএমএফ। জানা গেছে, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়ার পর প্রস্তাবিত ঋণ অনুমোদনের ফাইলটি দ্রুতলয়ে চলছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি সংস্থাটির বোর্ড সভায় বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাবটি তোলা হতে পারে। সব কিছু ঠিক থাকলে ওই দিনই অনুমোদন হয়ে যেতে পারে আলোচিত এই ঋণ প্রস্তাব। আর এই অনুমোদনের বিষয়টি অবহিত করতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন আইএমএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তবে তার আগে সরকার প্রধানের প্রতিশ্রুতির বিষয়েও নিশ্চিত হতে চাইবে প্রতিষ্ঠানটি। ঋণ প্রস্তাব নিয়ে নেগোসিয়েশনে সম্পৃক্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাবটি দ্রুত অনুমোদনের বিষয়ে তারা নেগোসিয়েশন চালিয়ে যাচ্ছেন। আইএমএফ আশ্বস্ত করেছে যত দ্রুত সম্ভব তারা সেটি অনুমোদন দেবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে এটি এ মাসেই হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগামী মাসেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হবে মোট ঋণের চার কিস্তির প্রথম কিস্তি, যা চলমান ডলার সংকট মোকাবিলায় সরকারের উদ্বেগ দূর করবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন : দেশের ২২তম মহামান্য রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন কে ?