আজ ৪ঠা রমজান ১৪৪৪ হিজরি। মহানবী (সা.) বলেন যে, রমজান ‘সবর’ তথা ধৈর্য ধারণের মাস এবং সবরের বিনিময়ে আল্লাহপাক জান্নাত বরাদ্দ রেখেছেন। এই মাস পরস্পর সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাস। যে ব্যক্তি এ মাসে আপন গোলাম ও মজদুর থেকে কাজের বোঝা পাতলা করে দেয় আল্লাহপাক তাকে ক্ষমা করে দেবেন এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করবেন। যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতারিতে পানি পান করাবে আল্লাহপাক কিয়ামতের দিন তাকে হাওজে কাওসারের পানি পান করাবেন। তারপর থেকে বেহেশতে প্রবেশ পর্যন্ত আর পানির কোনো পিপাসা হবে না।
হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত হুজুর (সা.) বলেন যে, রমজানের প্রতিটি দিবারাত্রিতে আল্লাহর দরবারে দোযখ থেকে অসংখ্য কয়েদিকে মুক্তি দেয়া হয় এবং প্রত্যেক মুসলমানের দিনে ও রাতে একটি করে দোয়া কবুল হয়। নিজে ইফতার করার পাশাপাশি রোজাদারদের ইফতার করানোর ফজিলতই আলাদা। এ সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে-হযরত যায়েদ বিন খালেদ জুহানি (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করালো তাকে রোজাদারের অনুরূপ সওয়াব দান করা হবে। কিন্তু রোজাদারের সওয়াবের কোনো কমতি হবে না।-(তিরমিযী /৮০৭)।
রমজান শরীফে প্রত্যেকের উচিত নিজের অধীনস্থদের উপর থেকে কাজের চাপ কমিয়ে দেয়া যাতে করে তাদের কষ্ট লাঘব হয়। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত প্রিয়নবী (সা.) বলেন- যে ব্যক্তি বিনা ওজরে ইচ্ছাপূর্বক রমজানের একটি রোজা ভঙ্গ করেছে, অন্য সময়ের সারা জীবনের রোজা ঐ মাসের রোজার সমকক্ষ হবে না।
মাহে রমজানের একটি রোজা কতোই না মূল্যবান। অতএব, আসুন আমরা সবাই নিজ নিজ অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাজের লোকদের উপর সহানুভূতিমূলক কাজের চাপ কমিয়ে দেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
আরো পড়ুন : আরও ৭ প্রতিষ্ঠানের সন্ধানের পাশাপাশি বরকত-রুবেলের সাথে আসামি হতে পারে ২৫-৩০