চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন আলিফ গল্লি, শফি মোটরস ও বিটেকে সড়কের দুই পাশে নির্মিত অবৈধ দোকানসমূহে চলছে নীরব চাঁদাবাজি। রমজান উপলক্ষ্যে এই চাঁদাবাজির পরিমাণ বেড়েছে কয়েক গুণ।
পাহাড়তলী থানার ক্যাশিয়ার পরিচয়ে ভ্রাম্যমাণ এসব খাবার হোটেল থেকে প্রতিদিন দোকান প্রতি ৩৯০ টাকা করে চাঁদা উঠাচ্ছেন মাসুদ ও ইলিয়াস নামে দুই ব্যক্তি। বেশ কিছু দোকান থেকে বিগত কয়েক মাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদাবাজি হয়েছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিটেক শিল্প এলাকার টং দোকানদার জাহাঙ্গীর ও শাহিন, শফি মোটরস এলাকার খোকন, আলিফ গল্লির কয়লার মাঠ এলাকার খাবার দোকানদার হারুন ও রাজু বলেন, শত শত দোকান হতে চাঁদা উঠাচ্ছেন মাসুদ ও ইলিয়াস।
তারা বলেন, পবিত্র রমজানে দিনের বেলায় দোকান খোলা রাখলেই চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলে মোটরসাইকেল নিয়ে সিভিলে পুলিশ পরিচয়ে এসে খাবারে পানি ঢেলে দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে মাসুদ বলেন, আমি এসবে নেই, যে বা যারা চাঁদা তোলে তাদের টহল পুলিশে ধরিয়ে দিন।
পাহাড়তলী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এসব এলাকায় কেউ চাঁদাবাজি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়তলী থানায় মাসুদ নামে কোনো ক্যাশিয়ার নেই। থানার ক্যাশিয়ার পরিচয় দিলেই পুলিশের কাছে সোপর্দ করার অনুরোধ করেন ওসি।
আরো পড়ুন : অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহায়তায় লাখ টাকায় পোড়া শাড়ি কিনলেন সাবিলা নূর