শুক্রবারের বইমেলায় অনেক মানুষ এসেছিল, দর্শনার্থীরা ভিড় করেছিল বেশ। লেখার শিরোনাম পড়েই হয়তো অনেকেই ভেবে বসেছেন, আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের কোনো সংগীতানুষ্ঠানের কথা বলতে যাচ্ছি। আসলে তা নয়।
এই প্যাভিলিয়ন ঘিরেই শত শত কণ্ঠে একসঙ্গে ভেসে আসছে গান। একই সুরে শতাধিক কণ্ঠে, তাও বইমেলায়! এমন ঘটনায় অনেকেই অবাক, অনুমানই করতে পারছেন না আসলে হচ্ছেটা কী?
একটু খোঁজ নিতেই জানা গেল, সংগীতশিল্পী জুনায়েদ ইভান একটি বই লিখেছেন, সেই বই কিনতে এসেছেন ভক্তরা। জুনায়েদ ইভান ‘অ্যাশেজ’ ব্যান্ডের গায়ক। পূর্বেই ভক্তরা জেনে গিয়েছিলেন, শুক্রবার জুনায়েদ ইভান আসছেন বইমেলায়। ফেসবুকে এই গায়ক লিখেছিলেন, ‘অন্যমনস্ক’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে…আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলায় আমি আসছি ! চলে এসো…।
এই আহ্বানে চলে এসেছিলেন অনেকেই। প্যাভিলিয়নের ভেতরে ইভান, বাইরে ভক্তরা। স্টল ঘিরে চারিদিক মাঝেমধ্যেই মিনিট-দুই মিনিট ধরে একটি সুরে কিংবা কোলাহলের ঢেউ ভেসে চলে, ফের থেমে যায়। বোঝাই যাচ্ছিল এদিন জুনায়েদ ইভান চুপ ছিলেন আর ভক্তরাই গাইছিল ‘আমি বদলে যাব’, ‘সে আমারে’, ‘ভিনদেশি তারা’—এমন সব গান।
শুক্রবারের বিকেলে বইমেলার ওই অংশটুকু হয়ে উঠেছিল যেন কনসার্টের মঞ্চ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লেখক বললেন, ‘বইমেলা কনসার্ট ভেন্যু হয়ে গেছে দেখছি, বাংলা একাডেমি কি দেখে না? তাদের যদি ভক্ত থাকে তাহলে অন্যভাবে বই বিপণনের ব্যবস্থা করতে পারে প্রতিষ্ঠান, বইমেলায় কেন?’
তবে ইভানের বই কিনতে আসা তরুণ ভক্ত জামিল জানালেন, তিনি এসেছেন শনির আখড়া থেকে। বললেন, ‘আমি বই পড়ি না, ইভান ভাইয়ের গানের দারুণ ভক্ত। শুধু জুনায়েদ ইভান ভাইকে একনজর দেখার জন্য এসেছি, আর অটোগ্রাফ নেওয়ার জায়গা নেই তাই বই কিনে অটোগ্রাফ নিয়েছি। ’
রাব্বি এসেছেন উত্তরা থেকে। এবার এসএসসি পাস করেছেন। বললেন, ‘অনেক এনজয় করলাম, গান গাইলাম সকলে একসঙ্গে। ’