চীন তাইওয়ান দ্বীপ অবরোধের অনুশীলনের জন্য ওই এলাকায় ৩ দিনের বিশাল নৌ মহড়া সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে।
তবে, চীনা টেলিভিশন জানিয়েছে মহড়া শেষ হলেও যুদ্ধের জন্য সামরিক সরঞ্জামের কার্যকারিতা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য এবং দ্বীপের আশেপাশের অবস্থান বোঝার জন্য সেখানে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন থাকবে।
দক্ষিণ চীন সাগরে আমেরিকা ও ফিলিপাইনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর পর চীনের এ পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায় বেইজিং ওই অঞ্চলে আমেরিকার মোকাবেলায় নিজের সামরিক শক্তি প্রদর্শনী অব্যাহত রাখতে চায়।
চীন তাইওয়ানকে তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে এবং তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন তৎপরতার বিরুদ্ধে বহুবার ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও আমেরিকা তাইওয়ানের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করছে এবং চীনের চারপাশে তার মিত্রদের নিয়ে সামরিক অনুশীলন করে চীনের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
এ অবস্থায় চীন তাইওয়ানের চারদিকে নিজের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করে এটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, কোনো অবস্থাতেই পাশ্চাত্য বিশেষ করে আমেরিকাকে তাইওয়ানের ব্যাপারে চীনের রেডলাইন অতিক্রমের সুযোগ দেয়া হবে না।
আরো পড়ুন : জবি শিক্ষার্থী খাদিজার মুক্তির দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল