কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারে একটি ফিশিং বোটে মিলেছে ১০ অর্ধগলিত মরদেহ। বঙ্গোপসাগরে ডুবে থাকা নামহীন ওই বোটটি কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে নিয়ে আসার পর কোল্ড স্টোর (মাছ রাখার বিশেষ স্থান) দেখতে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন স্থানীয়রা।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বোট থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মোনায়েম বিল্লাহ।
উদ্ধার ১০ মরদেহের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, তার নাম ফয়সাল (১৭)। তিনি মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গভীর সাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ফিশিং বোটটির কিছু অংশ ডুবে ছিল। পরে অপর একটি ট্রলার ওই ফিশিং বোটটিকে বিশেষ ব্যবস্থায় টেনে শনিবার সন্ধ্যায় নাজিরারটেকে নিয়ে আসে। ভাটার পর রোববার সকালে কোল্ড স্টোর দেখতে গিয়ে মানুষের হাত-পা দেখা যায়। তখনই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় মরদেহগুলো উদ্ধার শুরু হয়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ বের করা সম্ভব হয়েছে। মরদেহগুলো অর্ধগলিত হওয়ায় কাউকে ভালোভাবে চেনা যাচ্ছে না। তবে অনেকের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল।
কক্সবাজার জেলার মহেশী উপজেলার শাপলাপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত ১৫ রমজানে ১৮ জনের একটি দল এ ফিশিং বোট নিয়ে গভীর সাগরে যান। শাপলাপুর এলাকার নুরুল কবির (২০) নামের এক জলদস্যুর নেতৃত্বে তারা মূলত সাগরে ডাকাতি করতে যায়। কিন্তু গভীর সাগরে ডাকাতির এক পর্যায়ে ৫-৬টি ফিশিং ট্রলার এক হয়ে ডাকাত দলকে চতুর্দিকে ঘিরে ফেলে এবং ডাকাতদের মেরে তাদেরই ব্যবহৃত ফিশিং বোটের কোল্ড স্টোরে আটকে রেখে পানিতে ভাসিয়ে দেন। উদ্ধার হওয়া ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ এ ডাকাতদের।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ট্রলারের ভেতরে থাকা মরদেহগুলো পচে গেছে। সবগুলো মরদেহ ফিশিং ট্রলারের কোল্ড স্টোরেজের (হিমঘর) ভেতরে ছিল।
আরো পড়ুন : দুর্ভিক্ষ চলছে বিএনপির রাজনীতিতে, অক্ষম জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণে