ফজরের সালাতের ১০টি ফজিলত জানার পর কারো আর ফজর সালাতে গাফেলতি, অলসতা আসবেনা… ইনশাআল্লাহ্
১.ফজরের সালাত মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যকারী, কেননা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের জন্য ফজর সালাত আদায় কষ্টকর! (বুখারী ৬৫৭,৬৪৪,২৪২০,৭২২৪…মুসলিম–৬৬১)
২.রাসূল (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে, সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়। অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তালা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নেন। (সহিহ মুসলিম,তিরমিজি–২১৮৪)
৩.রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহর ফেরেশতাগন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দিবে। (বুখারী-মুসলিম)
৪. রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ফজর সালাত জামাতের সাথে আদায় করে,আল্লাহতালা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন! (সহিহ মুসলিম-১০৯৬)
৫. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ” যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে,আল্লাহতালা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন।
(আবু দাউদ –৪৯৪,,,,তিরমীযি)
৬.যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত দান করবেন।অথাৎ সে আল্লাহর দিদার লাভ করবে, এবং জান্নাতি ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে পূর্নিমার রাতের আকাশের চাঁদের মত দেখবে। (বুখারী-৫৭৩)
৭.যে নিয়মিত ফজরের সালাত আদায় করবে, সে কখোনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবেনা। (সহিহ মুসলিম ৬৩৪)
৮.ফজরের সালাত আদায়কারী,রাসূল (সাঃ)-এর বরকতের দোয়া লাভ করবেন। (সুনানে আবু দাউদ,মুসনাদে আহমাদ)
৯.ফজরের দু রাকাত সুন্নত সালাত, দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তারচেয়ে উত্তম। (জামে তিরমিজি – ৪১৬)
১০..ফজরের সালাত আদায়ের ফলে ব্যক্তির মন ফুরফুরে,প্রফুল্ল হয়ে যায়। (সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম)
সুবহানআল্লাহ……
আল্লাহর আমাদের উপরোক্ত সব নিয়ামতের ভাগীদার করুন।
আরো পড়ুন : বিচ্ছেদের আগেই নতুন প্রেমে মজেছেন আলিয়া