সিলেট সিটি নির্বাচনে কেন্দ্রের নির্দেশ মানছেননা বিএনপির প্রার্থীরা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় আওয়ামী লীগ ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড
সিলেট ব্যুরো : আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে নগরীর ৪২ টি ওর্য়াডের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড। রাজনৈতিক মহলেও বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে এ ৩টি ওয়ার্ড। গত নির্বাচনে মেয়র পদ নিয়ে মূল আলোচনা থাকলেও এবার মেয়রের পাশাপাশি এই ৩ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা এখন মুখে মুখে। নগর বিএনপির প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা এই ওয়ার্ডগুলো থেকে বার বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও অনেকে দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্বাচন করছেন ।
বিগত নির্বাচনগুলোতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল কাবু করতে পারেনি। কিন্তু এবার কোমর বেঁেধ মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যেকোন মূল্যে এই ওয়ার্ডগুলোতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা সরকারের উন্নয়নের সফলতা নিয়ে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্ঠা করছেন। এদিকে, কেন্দ্রের নির্দেশে বেকায়দায় পড়েছেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা। দলের হাইকমান্ড নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় নেতারা এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে হাইকমান্ডের এ নির্দেশ মানছেননা। শোকজ পেয়েও ভোটের মাঠে রয়েছেন।
৪ নং ওয়ার্ড
এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হলেন রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। তিনি একটানা ১৫ বছর ধরে এই ওয়ার্ডের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নগর ভবন ও এলাকায় তাঁর খুব বেশি প্রভাব রয়েছে। প্রভাবশালী এই কাউন্সিলর মহানগর বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ সভাপতি ও যুগ্ম আহবায়েকর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। এবারের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেননা। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান।
এবারের নির্বাচনে কয়েস লোদী না থাকায় আশায় বুক বেঁধেছেন অনেকে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম চৌধুরী, সমাজ সেবক শেখ তোফায়েল আহমদ শেপুল, আহমদুল হক।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে জনসেবা করতে চান যুবলীগনেতা আলম খান মুক্তি। তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই ওয়ার্ডের কাঙ্খিত উন্নয়ন হচ্ছেনা। ওয়ার্ডবাসীর স্বপ্নপূরণের জন্য নির্বাচন করছেন।
পরিবেশবাদী নেতা আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে ওয়ার্ডবাসীর সেবা করতে চাই।
স্থানীয়রা জানান, নগরীর অভিজাত এলাকা হাউজিং এস্টেট, আম্বরখানা (একাংশ), লেচু বাগান, কমলা বাগান, মজুমদারী, মনিপুরী বস্তি, দর্শনদেউড়ি (একাংশ), দত্তপাড়া, বনশ্রী, কোণাপাড়া, ফরিদবাগ ও পীর মহল্লার একাংশ নিয়ে এই ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডে ভোটার হলেন ৯ হাজার ৮’শ ৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ২’শ ৭৭ জন এবং নারী ভোটার ৪ হাজার ৬’শ ১৮ জন। গত নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৮ হাজার ৭’শ ৭৮ জন। এবার বেড়েছে ১ হাজার ১’শ ১৭ জন ভোটার। এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান প্রায় সমান হলেও ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি শক্তিশালী রয়েছে।
হাউজিং এস্টেট এলাকার ব্যবসায়ী পারভেজ আহমদ বলেন, বর্তমান কাউন্সিলরের সময়ে এলাকায় রাজনৈতিক সংঘাত ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নেই বললে চলে। মানুষ শান্তিতে আছে, তবে কিছুটা জনদুর্ভোগ রয়েছে। বৃষ্টি হলেই ছড়ার পাশের বাসাগুলোর সামনে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মজুমদারী এলাকার এক বাসিন্দা জানান, আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতার বাসা রয়েছে এই ওয়ার্ডে। কিন্তু দলের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরীতে তাঁদের কোন ভ‚মিকা নেই। আর তাঁদের এই দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি নেতারা জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন।
লেচু বাগানের রাসেল মিয়া বলেন, মশার উপদ্রবে এলাকাবাসী অতিষ্ট। জলাবদ্ধতা সহ অনেক ব্যর্থতা রয়েছে বর্তমান কাউন্সিলরের। কিন্তু এই ব্যর্থতা তুলে ধরার মতো শক্ত প্রার্থী আমাদের এলাকায় নেই। যার কারণে কয়েস লোদী বার বার নির্বাচিত হয়েছেন।
বনশ্রী এলাকার সুহাস রঞ্জন দাস শিমন জানান, এলাকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে যে সমাধান করতে পারবে তাকেই আমরা ভোট দিব।
৫ নং ওয়ার্ড
এক সময় সিলেট নগরীর আলোচিত এলাকা ছিল ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই। রাজনৈতিক হানাহানি, মারামারি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের জন্য আতংকের জনপদ ছিল। বিএনপির অস্ত্রধারীদের নিরাপদ আস্তানা ছিল এই এলাকায়। দিনে-দুপুরে মানুষ চলাচল করতে ভয় পেতো। এখন অবশ্য এসব নেই বললে চলে। গত দুই দশকে এর চিত্র অনেকটা বদলে গেছে। আগের মতো অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়না। দাগি অপরাধী অনেকেই বিদেশে পাড়ি দিয়েছে। এখন নগরীর অন্যান্য এলাকার মতো স্বাভাবিক পরিস্থিতি রয়েছে। এমনটা জানালেন স্থানীয় বসিন্দারা।
এই সাপ্লাই এলাকার পাশ^বর্তী খাসদবির, বড়বাজার, গোয়াইপাড়া, কলবাখানি, হোসনাবাদ, হাজারীবাগ, লালটিলা ও টিবি কোয়ার্টার এলাকা নিয়ে সিসিকের ৫ নং ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ৩’শ ৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৮’শ ১৭ জন এবং নারী ভোটার ৮ হাজার ৫’শ ৪২ জন। গত নির্বাচনে ছিল ১৫ হাজার ১৯ জন । এবার বেড়েছে ২ হাজার ২’শ ৪০ জন ভোটার।
এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হলেন রেজওয়ান আহমদ। তিনি টানা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিল ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলনেতা আব্দুল কাদির সমছু ও শহর বিএনপি নেতা কামাল মিয়া।
বর্তমান কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদের সাথে এবার ভোটযদ্ধে মাঠে রয়েছেন এই ওয়ার্ডের বিএনপির সাবেক আহবায়ক কামাল মিয়া, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান, শেখ মো. সাহেদ সিরাজ ও সমাজসেবক নাজমুল হোসাইন, রিমাদ আহমদ রুবেল।
স্থানীয়রা জানান, এই ওয়ার্ড বিএনপির দূর্গ হিসেবে পরিচিত। এবারের নির্বাচনে দলের শোকজ পেয়েও ভোট থেকে সরছেননা স্থানীয় নেতারা। দিন-রাত গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। এলাকার ভোটাররা জানান, স্থানীয় নির্বাচনে দলের প্রভাব তেমন একটা পড়েনা। প্রার্থীর যোগ্যতা দেখে ভোটাররা তাদের ভোট দিয়ে থাকেন।
বড় বাজার এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম জানান, অন্যান্য দলের তুলনায় এই ওয়ার্ডে বিএনপির নেতাকর্মী বেশি রয়েছেন। এরা সাহসী ও শক্তিশালী হওয়ায় যেকোন নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান মজবুত থাকে। বিশেষ করে স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিএনপির নেতাকর্মীদের সমর্থন নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে। বর্তমান কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ প্রকাশ্যে রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। একজন সাংবাদিক হিসেবে এলাকায় তাঁর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। আর একারণেই তিনি নিজের যোগ্যতায় টানা দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন।
কলবাখানির বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, এক সময় এই এলাকায় অপরাধীদের দৌরাত্ম অনেকটা ছিল। স্থানীয় কাউন্সিলর, এলাকার সচেতন মহল ও প্রশাসনের সহযোগিতায় এখন অনেকটা কমে এসেছে। এলাকার উন্নয়ন ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে হলে সঠিক নেতৃত্ব প্রয়োজন।
গোয়াইপাড়ার রহিম উদ্দিন জানান, মশার উপদ্রব ও খাবার পানির সমাধান চান এলাকাবাসী।
হাজারীবাগ এলাকার আব্দসু সালাম বলেন, সিলেটে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করতে এই এলাকার মানুষ বহু ত্যাগ করেছে। কিন্তু এই এলাকার নেতাকর্মীদের বিএনপি যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। এজন্য অনেক ক্ষোভ ও কষ্ট রয়েছে এই এলাকার লোকজনের। এরপরও এই এলাকায় বিএনপির যথেষ্ট জনসমর্থন রয়েছে।
৬ নং ওয়ার্ড
২০ বছর ধরে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্বে আছেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ সভাপতি ফরহাদ চৌধুরী শামীম। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে এবারও তিনি প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন । কেন্দ্র থেকে ৪-৫ দিন আগে শোকজ করা হয়েছে এই নেতাকে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে বহিষ্কার হতে পারেন এমন আশংকা নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন তিনি।
এর আগে এই ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি ছিলেন আবু নসর বকুল। তিনিও বিএনপি সমর্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। র্দীঘদিন ধরে বিএনপি নেতাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ উদ্ধারে মাঠে নেমেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের তিন নেতা। এরা হলেন- ইউকে ওয়েলফ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুমন ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন মিয়া।
নগরীর চৌকিদেখি, বাদামবাগিচা, ইলাশকান্দি, সৈয়দ মুগনী ও পূর্ব পীরমহল্লা নিয়ে এ ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৮’শ ২৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ২’শ ১০ জন এবং নারী ভোটার ৬ হাজার ৬’শ ১৭ জন। গত নির্বাচনে ছিল ১২ হাজার ৪’শ ৪১ জন। বেড়েছে এবার ১ হাজার ৩’শ ৮৬ জন ভোটার।
সাংগঠনিকভাবে এ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমান অবস্থানে থাকলেও ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি সবসময় এগিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তেমন একটা অবস্থান নেই। এমনটা জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ইলাশকান্দি এলাকার ব্যবসায়ী রনবীর দাস বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে বিশেষ করে কাউন্সিলর পদে দলের প্রভাব তেমন একটা পড়েনা। সাধারণ ভোটার নিজের পছন্দে ভোট দিয়ে থাকে। এখানে বিএনপির কাউন্সিলর সব সময় পাশ করে থাকেন।
বাদাম বাগিচার বাসিন্দা বরকত উল্লাহ বলেন, এখানে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অবস্থান দৃশ্যমান থাকলেও বিএনপির মতো মজবুত নয়। বর্তমান সরকারের আমল ছাড়া স্থানীয় ও জাতীয় প্রত্যেকটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা বেশি ভোট পেয়েছে। এখনও স্বচ্ছ ভোট হলে বিএনপির পাল্লা ভারি হবে।
স্থানীয় ভোটাররা জানান, এলাকার জলাবদ্ধতা, গলির ভিতরের রাস্তা ও মশার যন্ত্রণার সমাধান যে করতে পাবে তাকেই ভোট দিব।
কাউন্সিলর পদ প্রার্থী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুমন বলেন, পাড়ার ভিতরের অধিকাংশ রাস্তা ও কালভার্ট দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি। এছাড়া খাবার পানি ও জলাবদ্ধতা সহ অনেক সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছি।
বর্তমান সরকারের উন্নয়ন জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্যই নির্বাচন করছেন জাতীয় শ্রমিক লীগের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন মিয়া। তিনি বলেন, মাটি ও মানুষ নামে একটি সামাজিক সংগঠন করে দীর্ঘদিন জনসেবামূলক কাজ করছেন।
সংরক্ষিত ওয়ার্ড-২
সিসিকের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে নারী কাউন্সিলরদের সংরক্ষিত ওয়ার্ড-২ গঠিত। এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হলেন কুলসুমা বেগম পপি। তিনি ওয়ার্ডবাসীর প্রত্যাশিত উন্নয়ন করতে পারেননি এমন ইস্যু নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন জোসনা আহমদ, তাহমিনা রহমান রোবা ও রুনা বেগম। তবে পপি তাদের এ অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, সাধারণ ওয়ার্ডের পুরুষ কাউন্সিলরদের সাথে সমন্বয় করেই অনেক উন্নয়ন করেছেন। এবারও ওয়ার্ডবাসী তাকে নির্বাচিত করবেন। কাউন্সিলর পপি ও অন্যান্য প্রার্থীরা জানান, তাঁরা কেউই সক্রিয়ভাবে কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত নন। সাধারণ মানুষের কাতারে থেকে জনসেবা করতে চান।
কাওছার আহমদ, সিলেট
আরো পড়ুন : সিলেটে সিটি নির্বাচনে অস্ত্রের মহড়া, ভোটের মাঠে আতঙ্ক