কে ক্ষমতায় আসবে আর কে আসবে না তা ঠিক করবে ভোটাররা: ওবায়দুল কাদের

পুরুষ প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বৈরতন্ত্রের গর্ভে জন্ম নেয়া বিএনপি দেশ ও জনগণের কল্যাণ-চিন্তা কখনো করে না। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। তথাকথিত ‘নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা’ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের দেয়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বৈরতন্ত্রের গর্ভে জন্ম নেয়া বিএনপি’র অপরাজনীতি ও অশুভ তৎপরতা কেবল ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের কক্ষপথেই পরিচালিত হয়। দেশ ও জনগণের কল্যাণ-চিন্তা বিএনপি কখনো ধারণ করে না। তিনি বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসবে মেতে উঠেছে।

সেই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে তারা ষড়যন্ত্র আর লুটপাটের রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে। তথাকথিত ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’-এর নামে হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের দুর্নীতি-লুটপাট এবং একুশে আগস্টের মতো নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সেই ভয়াবহ যুগে ফিরে যাবার কোনো রূপরেখাকে সমর্থন দেবে না দেশের জনগণ। ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির বরপুত্র, খুনি, পলাতক আসামি তারেক রহমানের প্রেসক্রিপশনে প্রণীত কোনো ‘রূপরেখা’ নিয়ে জাতির আগ্রহ নেই। পেছনের দরজা দিয়ে তাদের ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্ন দেশের জনগণ পূর্ণ হতে দেবে না। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল কিংবা বিএনপি’র ঘোষিত আন্দোলনের নামে তথাকথিত যৌথ ঘোষণা ও ‘অল-আউট আন্দোলন’ জনগণের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু না।

তাদের আন্দোলনের হুমকি-ধামকি আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন ছাড়া কিছু নয়।

ঈদের পর, বর্ষার পর, পরীক্ষার পর তাদের আন্দোলনের অনেক হুমকি-ধামকি জনগণ দেখেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিএনপি’র কাল্পনিক গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টির আহ্বান বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলন হলো আগুন সন্ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা এবং স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত করা। আগামীতে তথাকথিত অভ্যুত্থান সৃষ্টির নামে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যার অপরাজনীতি জনগণ প্রতিহত করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ কর্তৃক বার বার প্রত্যাখ্যাত বিএনপি বরাবরের মতোই ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি’র ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হলো দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করা ও কুৎসা রটানো এবং কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ-মিথ্যাচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের চরিত্রহনন, দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত ও পাচারকৃত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে দেশবিরোধী অপপ্রচার চালানো। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো প্রকার হত্যা-ক্যু ব্যতিরেকেই বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পরিচালিত হবে দেশের জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভোটাররা ঠিক করবে কে ক্ষমতায় আসবে আর কে আসবে না। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ।

আরো পড়ুন : সরকার পরিবর্তন না হলে এক দল এক নেতার দেশ হবে বাংলাদেশ: জিএম কাদের

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *