আবহাওয়ার কারণে ঘরে ঘরে জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি ও গলা ব্যথা দেখা দিচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সাবধানে চলাফেরার পরামর্শ দিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, এরমধ্যে যারা জ্বর, কাশি, গলা ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা যেন গরম পানি পান করেন। গরম পানিতে লবণ দিয়ে গারগিল করেন। যদি দু’-একদিনের মধ্যে জ্বর ও গলা ব্যথা না কমে তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। কারণ এরকম লক্ষণ ডেঙ্গু জ্বরেও হয়ে থাকে, করোনায় হয়ে থাকে।
আবার নরমাল ফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জাতেও হয়ে থাকে। এ কারণে সবাই যেন সতর্ক থাকেন। বিশেষ করে ছোট শিশু ও বয়স্করা বা যারা বিভিন্ন রোগে ভোগেন যেমন- কিডনি রোগী, হার্টের রোগী, লিভারের রোগী, ক্যান্সারের রোগী- এদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। ঈদের দিন থেকে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এখন পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করছেন।
আবার বৃষ্টির মধ্যে অনেকে ঘুরতে বের হচ্ছেন। বাচ্চারা বৃষ্টিতে ভিজে খেলছে, পানির মধ্যে লাফালাফি করছে। এতে ঠাণ্ডা, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। দু’-একদিন দেখে অন্তত যেন তারা রক্ত পরীক্ষাটা (সিবিসি) করিয়ে নেয়। ডেঙ্গু পরীক্ষাটা যেন করায়। কখন কি ঘটে যায় সেটা তো আর বলা যায় না ।
এজন্য এ ধরনের উপসর্গগুলোকে কেউ যেন হালকাভাবে না নেয়। দেশের খ্যাতিমান এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়ে আরও বলেন, কোরবানি ঈদ গেল এখন সবাই কোরবানির মাংস খাবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরিমাণটা যেন ঠিক রেখে খান। যারা তরুণ তারা হয়তো বেশি মাংস খেতে পারে কিন্তু ক্যাপাসিটির চেয়ে বেশি খেলে তো বমি, বদহজম ও ডায়রিয়া এসব দেখা দিবে। খাওয়া-দাওয়া রয়ে সয়ে করেন পরিমাণের দিকে লক্ষ্য রাখেন। যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তাদের অল্প পরিমাণ মাংস খেলে কোনো ক্ষতি হবে না। চিকিৎসকের নির্দেশ মতো খান। বেশি মাংস খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার চেয়ে সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরো পড়ুন : গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়কের পদ থেকে রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের সিদ্ধান্ত