প্যারোলের চিঠি পেয়েও মায়ের জানাজায় থাকতে পারলেননা বিএনপির পিন্টু

আইন-আদালত জনপ্রতিনিধি পুরুষ পুরুষ অধিকার প্রচ্ছদ মনোকথা রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তির চিঠি পেয়েও মৃত মায়ের জানাজায় থাকতে পারেননি সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু। তাঁর ভাই যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এই অভিযোগ করেন।

রবিবার (১৩ আগস্ট) জেলার গোপালপুর উপজেলার গুলিপেচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মায়ের জানাজার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন টুকু। তাঁর ভাষ্য, মৃত মাকে শেষ দেখার জন্য প্যারোলে মুক্তির চিঠি মিললেও সরকার আমার বড় ভাই আব্দুস সালাম পিন্টুকে আসতে দেয়নি।
একদিন আল্লাহ এর বিচার করবেন। এই নির্যাতন-নিপীড়ন কখনোই ভালো পথ দেখায় না।

সরকারকে দায়ী করে টুকু বলেন, ‘যাঁরা করছেন, যা করছেন, তাঁরা থেমে যান-অনেক করেছেন। এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন আমার ভাই পিন্টু।
সবাই তাঁকে চেনে ভালো মানুষ হিসেবে। আমার ভাই তাঁর মায়ের মরা মুখটা দেখতে পারলেন না।’

পিন্টুর স্ত্রী বিলকিস বেগম বলেন, ‘শেষবারের মতো শাশুড়ির লাশ দেখার জন্য প্যারোলে আমার স্বামীর মুক্তির আবেদন করি। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আমার স্বামীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার চিঠি পাই।

কিন্তু এর পরও তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। আমার বড় মেয়ে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছে। সন্ধ্যা ৬টায় জেলগেটে লাশ দেখার অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এর আগেই গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়ে যায়।’

কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুর মায়ের লাশ কারা ফটকে আনা হয়নি। তবে প্যারোলে মুক্তির চিঠির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

এর আগে গত শনিবার রাতে পিন্টু ও টুকুর মা মোছা. সালমা বেগম রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে গ্রামের বাড়ি গুলিপেচায় নিয়ে আসা হয় তাঁর লাশ। গতকাল বিকেলে জানাজায় অংশ নেন বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী।

আরো পড়ুন : রুপিতে বাণিজ্য দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *