ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় সরকার; উদ্দেশ্য তারেককে দেশে আনা

আইন-আদালত আন্তর্জাতিক জনপ্রতিনিধি দুর্নীতি পুরুষ প্রচ্ছদ প্রবাস মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় সরকার। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

পিটিআই-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ বিদেশে লুকিয়ে রাখা অর্থ ফেরত নেওয়ার দিকে নজর রাখবে যা অবৈধভাবে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমরা ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি চেয়েছি। ব্রিটিশ সরকার আমাদের অনুরোধে সাড়া দেবে বলে আশা করছি।
আনিসুল হক জি-২০ মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে কলকাতায় থাকার সময় এ সাক্ষাৎকার দেন। প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে দেশে সাজাপ্রাপ্ত বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের একে অপরের ভূখণ্ডে ফেরত পাঠানো যায়।

গত ২ আগস্ট দুদকের দায়ের করা মামলায় তারেক রহমানকে নয় বছর এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে তারেক রহমানকে। এটি না দিলে তাকে আরও তিন মাস সাজা ভোগ করতে হবে।

অন্যদিকে জুবাইদা রহমানকে কারাদণ্ড ছাড়াও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস সাজা ভোগ করতে হবে। আদালত একইসঙ্গে তারেক রহমানের প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

তারেক রহমান ২০০৮ সালে সেনাবাহিনী-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে একটি বন্ডে স্বাক্ষর করার পর লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি পায়।

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরাও চাই তার মাধ্যমে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ পাচার হস্তান্তর করা হোক। আওয়ামী লীগ সরকার তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করেনি। তাকে গ্রেপ্তার করেছিল সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার। দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে যার ভিত্তিতে বিচার বিভাগ তাকে সাজা দিয়েছে।’

একাধিক দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মামলায় বিচারিক কার্যক্রমের মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি, বিরোধী দলের কো-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবেও অভিযুক্ত করা হয়। হামলায় বহু মানুষ প্রাণ হারায়।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে আনিসুল হক পিটিআইকে বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে একটি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার নিয়ম রয়েছে এবং আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন একটি শীতকালীন নির্বাচন পরিচালনা করবে।’

অোরো পড়ুন : আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ইন্তেকাল

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *