স্টাফ রিপোর্টার: তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাওয়া কোনো ষড়যন্ত্র নয়, এটা জনগণের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার দুপুরে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) উদ্যোগে এক সভায় মন্তব্য করেন তিনি। ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক আহবায়ক ও এ্যাব’র সাবেক সভাপতি ও আমার দেশ সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান এবং বরেণ্য সম্পাদক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজার প্রতিবাদে “মাহমুদুর রহমানের সংগ্রাম ও সাংবাদিকতা” শীর্ষক সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির আন্দোলনের বারোটা বেজেছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আসলে আমাদের কর্মসূচিতে লোকসমাগম দেখে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আবোল তাবোল বলছে। ওবায়দুল কাদের ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন। কারণ তাদের তো জনভিত্তি নেই। তারা তাদের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এসব বলছেন। আমি বলবো- ওবায়দুল কাদের এখনো সময় আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিন। এটা চাওয়া কোনো ষড়যন্ত্র নয়, এটা জনগণের দাবি।
তিনি বলেন, কুষ্টিয়ায় আদালতে মাহমুদুর রহমানের ওপর ভয়ঙ্কর আক্রমণ করা হয়েছে। এটা কি একটা রাষ্ট্র? আজকে যে অভিযোগে আমেরিকার আদালত মামলা বাতিল করে দেয় সেখানে বাংলাদেশে একটা নিউজর কারণে বিচার করা হয়।
এটাতো এই সরকারের আদালত, আওয়ামী লীগের আদালত। সেই আদালতে সাজা দেয়া হয়েছে মাহমুদুর রহমানকে ও শফিক রেহমানকে। সাজা দেয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। কারণ এই সরকার ন্যায় বিচারের আদালতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। সেখানে এ ধরনের বিচারই হবে। সেজন্যই তো বিচারকরা বলছেন- শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ।
তিনি আরো বলেন, আজকে শফিক রেহমান-মাহমুদুর রহমান দেশে থাকলে এই সরকার তাদের মেরে ফেলতো! সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের সাজা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ হলো গুন্ডাদের দল। রাষ্ট্রকে দিয়ে এই সরকার এগুলো করছে। অতীতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমনটা হয়েছিলো। সেই অত্যাচার পদ্ধতি প্রয়োগ করছে এই সরকার। আসলে কর্তৃত্ববাদী দেশে এসবই হয়। এই সরকারের আদালতে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানকে সাজা দেয়া হয়েছে। সেই নির্যাতনের ধারা আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনেও সরকার জারি রেখেছে। ২০ নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। অনেককে পঙ্গু করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু বলেন, মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমান দুজন সৃজনশীল মানুষ। বর্তমান সরকারের আমলে তাদের ওপর সীমাহীন জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। এই নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে একদফা দাবি আদায়ে রাজপথে ফয়সালা করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমানের উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন আমারদেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজের মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন, এ্যাব নেতাদের মধ্যে প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, গোলাম মাওলা, সুমায়েল মল্লিক, মাহবুব আলম, শাহাদাত হোসেন বিপ্লব, মোতাহার হোসেন। এছাড়াও প্রকৌশলী আফজাল হোসেন সবুজ, সাইফুল ইসলাম, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, বিএনপি নেতা টিপু আব্বাসসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন : মির্জাপুরে আবাসিক হোটেলের আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপ, ১৩ তরুণীসহ গ্রেপ্তার ২৫