ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিদেশিদের খোলাচিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ৫০ জন বিশিষ্ট সম্পাদক। এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা ওই চিঠিকে বাংলাদেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেন।
শনিবার বাসসে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে সম্পাদকেরা বলেন, ‘গত ২৮ আগস্ট কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সম্মানিত সদস্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া খোলাচিঠিতে বাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এটি একটি সার্বভৌম দেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
বিবৃতিতে সম্পাদকেরা বলেন, ‘এ ধরনের খোলাচিঠি দিয়ে তাঁরা অনৈতিক, বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন বলে আমরা মনে করি।’ বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের বিবৃতি বা খোলাচিঠি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার–সংক্রান্ত বিধানাবলির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের এ ধরনের বিবৃতি ও চিঠি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনৈতিক। একজন অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না এবং বিচার করা যাবে না, এমন দাবি ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পরিপন্থী।
বিবৃতিদাতা সম্পাদকদের মধ্যে আছেন ডেইলি অবজারভার-এর সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আজকের পত্রিকার গোলাম রহমান, ইত্তেফাক-এর তাসমিমা হোসেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কালের কণ্ঠ-এর প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, সমকাল সম্পাদক আলমগীর হোসেন, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর নঈম নিজাম, ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন, ভোরের কাগজ-এর শ্যামল দত্ত প্রমুখ।