নিজস্ব প্রতিবেদক : আদালতের আদেশ অমান্য করে এক ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে পাওয়া গেছে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার উলসন রোড মিশনপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস আহম্মদ। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি নিজ বাড়ি বিক্রি করে ইউলসন রোডে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করি। সেখানে বাড়ি তৈরির সময় আমার পশ্চিম সীমানার বাসিন্দা হারুন অর রশীদ ও আশরাফুজ্জামান তাদের অপর সহদোর খুলনায় কর্মরত পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবালের সহযোগিতায় বাঁধা দিয়ে আসছে। আমি আদালতে দেওয়ানী মামলা করার পর আদালত ওই জমিসহ ওই দাগে ১৭ দশকি ৭৫ শতাংশ জমিতে বিবাদীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন। এই জমি থেকে ৪ শতাংশ রাস্তা হিসেবে রয়েছে।
বিবাদী হারুনের মূল বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানার তালতলা মালখানগর গ্রামে। তার সহোদর ভাই অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবালের আশ্রয় পশ্রয়ে থেকে আমার বাড়ির চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পুলিশ দিয়ে আমাকে নানাভাবে হয়রানী করে আসছেন।
আব্দুল কুদ্দুস আরও বলেন, আমি এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ করি। থানার এসআই মো. রুবেল তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েও কোন ব্যবস্থা নেননি। পরে আমি বাধ্য হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও পুলিশের আইজির কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছি। এতে ইকবাল সাহেব ক্ষিপ্ত হন। তারই নির্দেশে ভাই হারুনকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করে। ওই মামলা দিয়ে আমাকে নানাভাবে হয়রানী করার চেষ্টা করে। এমনকি গত ১৭ অক্টোবর আমার জমিতে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে শতশত মানুষের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে হারুন ও আশরাফ। ভাই উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় তার ভয়ে এবং মামলায় ফাঁসার ভয়ে কেউ আমাকে সহযোগিতা করছে না। থানা পুলিশের কাছেও ন্যায় বিচার পাওয়া যায় না। আব্দুল কুদ্দুস পুলিশি হয়রানী থেকে মুক্তি দাবী করে বলেন, বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে দিলে শত শত মানুষ তাদের বাড়িঘরে প্রবেশ রতে পারবে না। এবিষয়ে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চান।
এবিষয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি ইকবালের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন: ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারে নামাজের সময়সূচি