জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সক্রিয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে চূড়ান্ত সুরাহা চায় দলটি। একইসঙ্গে সরকারের পতন, সংসদ ভেঙে দেয়া ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পদত্যাগের দাবিতে অনড় চরমোনাই পীরের এই দল। লক্ষ্য আদায়ে রাজপথে আন্দোলনও করছেন তারা। এবার শীর্ষ নেতারা চাচ্ছেন- জোরালো কর্মসূচি। ভিসা নীতিসহ সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারকে চাপে রাখতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা। অক্টোবরের শুরুতেই বড় কর্মসূচির পরিকল্পনাও করছে দলটি। ৭ই অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। ইসলামী নীতিনির্ধারকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সারা দেশে সরকারবিরোধী কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এবার টার্গেট ঢাকা।
রাজধানীকেন্দ্রিক লাগাতার কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে। সে লক্ষ্যে চূড়ান্ত ও শেষ ধাপের আন্দোলন করবেন তারা।
নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক সদস্য জানান, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। তারা বলেন, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে একাট্টা বিরোধী দলগুলো। তার ওপর মার্কিন ভিসা নীতি। সবমিলিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে অক্টোবরের প্রথম দিককেই গুরুত্ব দিচ্ছে আন্দোলনে থাকা দলগুলো। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে ঢাকায় বড় কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে শুক্রবার ঢাকায় নগর সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন। দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে মিরপুর ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।৭ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে দফায় দফায় বিভিন্ন ইউনিটের সঙ্গে বৈঠক করবেন নেতারা। পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার প্রস্তুত করেছেন তারা।
সমাবেশ থেকে সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি বার্তা ও পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে। আয়োজকরা বলছেন, ব্যাপক জনসমাগমের মধ্যদিয়ে ঢাকায় বিশাল সমাবেশ করার প্রস্তুতি রয়েছে। সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর (পীরসাহেব চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম সহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। আগামী নির্বাচন ও আন্দোলনকে ঘিরে দিকনির্দেশনা আসবে সমাবেশ থেকে।
ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, দেশে রাজনৈতিক সংকট বিদ্যমান। এখান থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ বর্তমান সরকারের পদত্যাগ। জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। এসব দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। জেলা ও মহাগরগুলোতে আমরা বড় পরিসরে সমাবেশ করেছি। এবার ঢাকাকেন্দ্রিক প্রস্তুতি নিচ্ছি। অক্টোবরের প্রথম দিকেই কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে। আমরা কর্মসূচির বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। শিগরিই চূড়ান্ত হবে।
আরো পড়ুন : অক্টোবর মাসজুড়ে রাজপথে হার্ডলাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ