গণ আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে গেছে গণমাধ্যম। গণমাধ্যমের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে চলেছে। মানুষের এই চিন্তা ও প্রত্যাশার সম্প্রসারণটিই ঘটেছে আদর্শ গণমাধ্যমের কাছ থেকে। মানুষ যখন দেখে টেলিভিশন তার জীবনকে সহজ করে দিচ্ছে, টেলিভিশন তাকে আত্মবিশ্বাসী করছে, টেলিভিশন তাকে স্বপ্নবান করছে তখনই মানুষ টেলিভিশনের প্রতি ঝুঁকতে থাকে। গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের এই আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টির পেছনেই নিবিড় কর্মসাধনা রয়েছে চ্যানেল আই-এর।
বিশ্বময় বাংলা ভাষাভাষীর স্বপ্ন আকাক্সক্ষা আর জীবনধারার প্রিয় সঙ্গী চ্যানেল আই পথচলার চব্বিশ বছর পার করে এবার পা রাখছে পঁচিশ বছরে। শতভাগ পেশাদারিত্ব, নতুনত্ব, সৃজনশীলতা ও তারুণ্যের জয়গান গেয়ে চ্যানেল আই এর অভিযাত্রা। তাই ২৫ বছরে এসে চ্যানেল আইয়ের শ্লোগান- পঁচিশ উচ্ছাস লাল সুবজে বিশ্বাস।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক বিকাশ, খাদ্য নিরাপত্তায় শতভাগ স্বনির্ভরতা অর্জন তথা বাংলাদেশের গঠনমূলক পরিবর্তনের সরব সঙ্গী চ্যানেল আই। মানুষ যা দেখতে চায়, যা শুনতে চায়, যা উপলব্ধি করতে চায় তা নিয়েই চ্যানেল আই-এর পথচলা। এর সঙ্গে জীবনকে এগিয়ে নেয়া, রুদ্ধ দুয়ারকে খুলে দেয়া, সত্যকে শাণিত করার পথেও থাকতে হয়েছে অবিচল। টেলিভিশন কিংবা গণমাধ্যম নিয়ে মানুষের তৃষ্ণা ও প্রত্যাশাগুলো পূরণ করে এগিয়ে চলেছে চ্যানেল আই। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ও আকাশ সংস্কৃতির নতুন নতুন অগ্রযাত্রার ভেতর চ্যানেল আই-এর পথচলা নতুন নতুন উদ্ভাবনের ভেতর দিয়ে। প্রথম দিন যে নতুনত্বের মালা গেঁথেছিল, আজও তা গেঁথে চলেছে চ্যানেল আই।
এদেশে টেলিভিশনের ইতিহাস যখন পয়ত্রিশ বছরের, তখন ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর পথচলা শুরু হয় চ্যানেল আই-এর। সেদিন বুকভরা স্বপ্ন আর দেশ ও জনগণের কল্যাণে শতভাগ দায়বদ্ধতার এক নতুন প্রত্যয় ছিল চ্যানেল আই-এর পরিচালনা পর্ষদের। একটি আধুনিক টেলিভিশন, যা মানুষের তথ্যের তৃষ্ণা মেটাবে, মানুষের মূল্যবোধ জাগ্রত করবে, তার বন্ধ চোখ খুলে দেবে, তার জীবনের প্রয়োজনের সঙ্গে মিশে যাবেÑ এই ছিল স্বপ্ন। তা পূরণ করা গেছে দিনে দিনে। পথচলার শুরু থেকে চ্যানেল আই দেশের শিল্প সংস্কৃতির সব গুণী মানুষদেরকে যুক্ত করেছে তার পথচলার বিশাল কাফেলায়। দিনে দিনে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে ছড়িয়ে পড়েছে বিশাল বিশাল ইভেন্ট নিয়ে। পৃথিবীর ছয়টি মহাদেশের বাংলা ভাষাভাষীরা সব দিনে দিনে যুক্ত হয়েছেন চ্যানেল আই-এর লাল সবুজ রঙে। যুক্ত হয়েছেন হৃদয়ে বাংলাদেশ চেতনায়।
আজ দেশের সঙ্গীত প্রতিভার কথা উঠলেই আসে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের কথা, আসে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের কথা, শিশু-শিল্পীর গান মানেই চ্যানেল আই-এর ক্ষুদে গানরাজ অনুষ্ঠান, অভিনয় প্রতিভা আর নতুন মুখ অনুসন্ধান মানেই লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টারসহ চ্যানেল আই-এর বিভিন্ন ইভেন্ট, আবৃত্তি শিল্পী গড়তে আবৃত্তি ছন্দে আনন্দে, নাচের শিল্পী গড়তে চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে অনুষ্ঠানগুলো স্বনামেই খ্যাত হয়ে উঠেছিল। প্রতি বছরই চ্যানেল আই-এর কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোগ। সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বের করে আনা হচ্ছে গুণী মুখ। সত্যিকারেই এক কারিগরের ভূমিকায় থেকে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুনের জয়গান ধরে রাখছে চ্যানেল আই।
চ্যানেল আই বরাবরই তার পথচলার ভেতর দিয়েই শিক্ষা গ্রহণ করে। তাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করে টেলিভিশন মানে শুধু বিনোদন নয়। টেলিভিশন মানে জনকল্যাণ, টেলিভিশন মানে মানব সেবা, টেলিভিশন মানে জাতির উন্নয়ন ও ক্রমবিকাশের অনন্য বাহন। চ্যানেল আই এদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বহুসংখ্যক গুণী শিল্পীকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছে। একইসঙ্গে তাদেরকে নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতাও অব্যাহত রেখেছে। একটি টেলিভিশন নিতে পারে সমাজের অনেক ভালো ও শুভ ঘটনার নেপথ্য শক্তি। টেলিভিশন মানুষকে আরো সক্রিয় করতে পারে দেশের পথে। এই বিশ্বাস থেকে প্রতি বছরই নিয়মিত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করেছে নতুন নতুন কিছু কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান। যেগুলো এক ধরনের সামাজিক আন্দোলন।
আরো পড়ুন : ‘শাটডাউন’ হলে ১ অক্টোবর মধ্যরাতের পর বন্ধ হবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম