সিলেট অফিস: সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ওসির প্রত্যাহারের দাবিতে গোলাপগঞ্জ পৌর শহরে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশা চালক শ্রমিকরা অবরোধ শুরু করেন। এসময় সড়কের দু’পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। এতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হন। পরে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের সাথে বৈঠক শেষে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে অবরোধ তুলে নেন পরিবহন শ্রমিকরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ দাস। তিনি জানান, যান চলাচল এখন স্বাভাবিক হয়েছে।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর হেতিমগঞ্জের বাঘা এলাকার একজন ব্যক্তিকে তাদের একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর ২ অক্টোবর (সোমবার) আহত ওই ব্যক্তি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের সাথে শ্রমিকদের সমঝোতা হলে স্বজনরা মামলা করবে না বলে জানায়। পরিবারের সদস্যরা নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের আবেদন করে। এজন্য গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়। কিন্তু নানা অজুহাতে তিনি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওসি জানান- তিনি সাক্ষর দিতে পারবেন না। এর প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে বেলা ২টার দিকে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্থানীয় শ্রমিক নেতারা। বৈঠকে তাদের দাবি পূরণ হওয়ায় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।
গোলাপগঞ্জ মাইক্রোবাস শ্রমিক উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া জানান, থানা পুলিশের সাথে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। জনস্বার্থে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে পরিবহন শ্রমিকরা অবরোধ করেছিলেন। শ্রমিক নেতাদের সাথে আলোচনার পর এখন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
কাওছার আহমদ
আরো পড়ুন : রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে যুব গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশ।