বিবিসি : ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট আজ সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর মধ্যে তিনি বলেছেন, ‘আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাস–সেখানে সব কিছুই বন্ধ থাকবে। আমরা মানব পশুদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের সেভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’
ভূ-মধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজা উপত্যকার দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং এটি ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত। সীমান্তের বড় অংশ রয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে এখানে, যাতে এটা হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি।
গাজার আকাশ পথ ও সৈকত ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে কোন কোন ব্যক্তি যেতে পারবেন এবং কী কী পণ্য ঢুকতে পারবে, সে বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে ইসরায়েলের। একইভাবে গাজা সীমান্তে লোকজনের আসা–যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে মিশর।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, গাজার বাসিন্দাদের প্রায় ৮০ শতাংশ আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভর করেন। তাদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রতিদিনকার খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকেন।
গত শনিবার সকালে গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। কয়েক হাজার রকেট হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েলের ভূ–খণ্ডে ঢুকে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালান হামাস সদস্যরা। তাদের ওই হামলায় ইসরায়েলের ৭০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর জবাবে গাজায় বিমান থেকে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি এই দুদিন ধরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে পড়া হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করেছে তারা।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৫১ জন মানুষ।