প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যাংকের টাকা বন্ধ করে দুর্নাম দিতে চেয়েছিল যে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম দুর্নীতি করতে আসিনি, মানুষের সেবা করতে এসেছি। শেখ মুজিবের মেয়ে দুর্নীতি করে না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ মুজিবের মেয়ে দুর্নীতি করতে পারে না। বিএনপি মনে করেছিল পদ্মা সেতু করতে পারবে না। কিন্তু আমরা করে দেখিয়েছি। পদ্মা সেতু আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পেরেছি। যার ফলে আমরা বাংলাদেশের মানুষ, যাদের কথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না।
মঙ্গলবার পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধন শেষে ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে, দেশের কল্যাণে কাজ করে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করছি। দেশকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ফরিদপুরে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। এছাড়া ফরিদপুরের প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। ফরিদপুর পুরনো শহর, কিন্তু সবসময় অবহেলিত ছিল। আমরা সরকারে এসে উন্নয়ন করেছি। ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজকে সম্প্রসারিত ও সেবার আধুনিকায়ন আমরাই করেছি।
তিনি বলেন, আজ আপনাদের সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ফোন আপনাদের কে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করার জন্য ২০০১ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেয়। আসলে ধ্বংস করাই তাদের চরিত্র। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে আবার উদ্যোগ নেই। অনেকে বলেছিল এটা সম্ভব না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুর, শরীয়তপুরসহ আশেপাশের এলাকা নদীভাঙন থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা যে বিদ্যুৎ দিয়েছি, এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে অনেক টাকা খরচ হয়। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। সেই সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষের সব ধরনের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই বাংলাদেশ গড়ে উঠবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা আজকে বয়স্ক ভাতা দিচ্ছি, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতা দিচ্ছি, মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছি… যে মা বাচ্চাকে দুধ খাওয়ায়, কর্মজীবী মহিলা, তাদের ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছি, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিচ্ছি। আমরা সবার জন্য যারা ভূমিহীন, তাদের বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি মানুষও আর ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশকে অনেকটা চাপ মুকাত করলেন লিটন দাস