ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগের টিকা উৎপাদনে বাংলাদেশকে ৩৩৮ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে আগ্রহী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। গতকাল বুধবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে বৈঠককালে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এ তথ্য জানান।
সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ঋণের অর্ধেক সাধারণ ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে, বাকি অর্ধেকের সুদ বাজারদরের তুলনায় কিছুটা কম হবে।
এডিমন গিন্টিং জানান, মূলত টিকা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ গাভি কার্যক্রম থেকে টিকা পাচ্ছে, তবে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এই সুযোগ থাকবে না। তবে বাংলাদেশের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। সে কারণেই এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে এডিবি। সেই সঙ্গে এডিবির সহায়তা পেলে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে টিকা রপ্তানি করতে পারবে বলেও মনে করেন গিন্টিং।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, এই ঋণের চুক্তি সইয়ের বিষয়ে কাজ হচ্ছে। তবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই চুক্তি সই করা না গেলে নমনীয় সুদে যে অর্ধেক ঋণ পাওয়ার সুযোগ আছে, তা আর থাকবে না। বিষয়টি তামাদি হয়ে যাবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি মাথায় রেখে কাজটি দ্রুত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টির সঙ্গে শুধু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় নয়, সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও জড়িত।
সামনে সাধারণ নির্বাচন এবং এর আগে একনেকের বৈঠক না হলে কীভাবে এই প্রকল্প অনুমোদিত হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের মনে থাকার কথা, মহামারির শুরুতে নিয়মিত প্রক্রিয়া ছাড়াই আমি দুটি প্রকল্প অনুমোদন করিয়েছিলাম। অতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে ওগুলো সেভাবে অনুমোদন করা হয়েছিল। এটাও যেহেতু টিকার বিষয়, সেহেতু বিশেষভাবে অনুমোদন করানো যেতে পারে বলে আমার মত।’
বিভিন্ন টিকার তত্ত্বীয় দিকনির্দেশনা দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অর্থ দেবে এডিবি আর তৈরি করবে বাংলাদেশ এই ত্রিমুখী সহযোগিতার ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে টিকা তৈরি হবে বলে জানান মন্ত্রী এম এ মান্নান।
এডিমন গিন্টিং জানান, ২০২২ সালে এডিবি বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৩৫০ কোটি ডলার ছাড় করেছে। আগামী বছর ও তার পরবর্তী সময়েও এই বহুপক্ষীয় সংস্থা বাংলাদেশকে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে।
আরো পড়ুন : গাজায় ইসরায়েলি হামলায় জাতিসংঘের ১১, রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্টের ৫ সদস্য নিহত