আগামী দ্বাদশ সংসদ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আসেন অতিথিরা। এসময় তাদের স্বাগত জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে সংলাপে আমন্ত্রিতদের অনেকেই আসেননি বলে জানা গেছে।
শুরু থেকেই অংশগ্রহণমূলক ভোট আয়োজনে রাজনৈতিক সমঝোতার তাগাদা দিয়ে আসছেন নতুন সিইসি। দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদদের মতামত নেয় তার নতুন কমিশন, এবার তারা বসেছেন দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে।
আজ সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, লিডারশিপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. সিনহা এম এ সাঈদ, লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল, সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বেগম শাহীন আনাম, নিজেরা করি’র কো-অর্ডিনেটর খুশী কবির, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ ইনডিজিনিয়াস পিপলস ফোরাম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং ও সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ (সিইউএস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে পেশাজীবীদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের দ্বিতীয় ধাপে সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান, রাশেদা সুলতানা এমিলি ও আহসান হাবীব খান সংলাপে অংশ নিচ্ছেন।
সংলাপের শুরুতে সিইসি বলেন, ‘সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হচ্ছে এটা বলা যাচ্ছে না। কোনো দুর্বলতা থাকলে আপনাদের পরামর্শ শুনে সমৃদ্ধ হব ও নতুন কিছু চিন্তা করতে পারব।’
২৭ ফেব্রুয়ারি দেশের ত্রয়োদশ সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেন হাবিবুল আউয়াল, যার নেতৃত্বে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আয়োজন হবে।
দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় প্রথম বৈঠকে শিক্ষাবিদদের মতামত নেয় নতুন ইসি। বৈঠকে আলোচকরা সবার আস্থা অর্জনে কাজ করার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি ও ইভিএম নিয়ে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।