নারী ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতের সঙ্গে আগে কখনোই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মঞ্চে মুখোমুখি হয়েও জয়ের দেখা পাননি সালমা-জ্যোতিরা। হ্যামিল্টনে আজ ভারতের কাছে ১১০ রানে হারল বাংলাদেশের মেয়েরা। ২৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিগার সুলতানার দল ৪০.৩ ওভারে ১১৯ রানে সবকটি উইকেট হারায়।
রান তাড়া করতে নেমে আজ বড় লজ্জায় পড়তে যাচ্ছিল টাইগ্রেসরা। ৩৫ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে জ্যোতির দল। এতে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়ার সম্ভাবনায় ছিল নারী দলের। ২০১২ সালে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আরও দুইবার ৬৮ ও ৭১ রানে থেমেছিল টাইগ্রেসরা।
শুরু থেকে উইকেট হারানো বাংলাদেশ ম্যাচে ছিল না কখনোই। টাইগ্রেসদের পক্ষে মাত্র পাঁচ ব্যাটার দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করেন। সালমা ৩২, লতা ২৪, মুর্শিদা ১৯, রিতু মণি ১৬ ও জাহানার ১১ রান করে বাংলাদেশের স্কোর একশো পার করে। শেষ পর্যন্ত ৪০ ওভার ৩ বলে ১১৯ রানে থামে টাইগ্রেসরা।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন স্নেহ রানা ২টি করে উইকেট নেন ঝুলন গোস্বামী ও পূজা ভস্ত্রকার।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৪ রান যোগ করেন ভারতের দুই ওপেনার শেফালি ভার্মা ও স্মৃতি মান্দানা। এরপর স্কোরবোর্ডে কোনো রান না তুলেই তিন উইকেট হারায় ভারত। রিতু মনি এবং নাহিদা আক্তারের বোলিং তোপে বিপদে পড়ে যায় ভারত।
এমন কঠিন সময়ে যষ্টিকা ভাটিয়া ও হারমনপ্রীত কাউরের ৩৪ রানের জুটি একশো পেরিয়ে যেতে ভূমিকা রেখেছে। দলীয় ১০৮ রানে হারমনপ্রীতের উইকেট হারায় ভারত। তার আগে ভারতীয় ব্যাটার ৩৩ বলে ১৪ রান করে ফিরেছেন। এরপর বড় জুটি গড়েন যষ্টিকা-রিচা। তাদের ৫৪ রানের জুটি ভারতকে দুইশো পেরিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। রিচা ৩৬ বলে ২৬ রানে আউট হয়েছেন। আর যষ্টিকা খেলেছেন ৮০ বলে ৫০ রানের মহামূল্যবান ইনিংস। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৯ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোলার রিতু মনি। এই পেসার ৩৭ রান খরচায় নিয়েছেন তিনটি উইকেট। এছাড়া নাহিদা আক্তার দুটি এবং জাহানারা আলম একটি উইকেট নেন।