এবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নিক্সন চৌধুরীকে শোকজ

আইন-আদালত জনদুর্ভোগ জনপ্রতিনিধি তথ্য-প্রযুক্তি নির্বাচন পুরুষ প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি লাইফ স্টাইল হ্যালোআড্ডা

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁকে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল তিনটার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন করা ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীর উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরীর সই করা চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মজিবুর রহমান চৌধুরী গতকাল বুধবার জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে ফরিদপুর-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ সংক্রান্ত খবরে প্রকাশ হয়েছে যে, আপনি (নিক্সন) আড়াই শতাধিক মাইক্রোবাস ও দুই শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ফরিদপুর শহরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। একটি ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাতে জানাতে ভাঙ্গার দত্তপাড়া থেকে যাত্রা শুরু করে সদরপুরের চন্দ্রপাড়া, আটরশি পাড় হয়ে চরভদ্রাসন হয়ে ফরিদপুর সদরের গজারিয়া, মুন্সিবাজার দিয়ে ঢাকা-বরিশাল সড়ক ধরে ফরিদপুর শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় হয়ে মুজিব সড়ক, ব্রাক্ষসমাজ সড়ক দিয়ে জেলা পরিষদের সামনে এসে পৌঁছান। এ সময় ঐ এলাকায় সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আপনি এই কাজের মাধ্যমে সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কেন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রেরণ করা হবে না- সেই মর্মে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন করা ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ২য় আদালত, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ফরিদপুর) ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ৮ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো প্রার্থী কোনো ধরনের মিছিল কিংবা শোডাউন করতে পারবেন না। (ক) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী, ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহনসহকারে মিছিল বা শোডাউন করতে পারবেন না।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নিক্সন চৌধুরীর বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে নিক্সনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সদরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গা থেকে আলাদাভাবে রওনা দিয়েছি। কিন্তু শেষের দিকে সবাই মিলে যাওয়ায় গাড়িবহর বড় হয়ে গেছে।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহমান তালুকদার বলেন, ‘মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আমার কক্ষে আমি নিক্সন চৌধুরীসহ পাঁচজনের বেশি ঢুকতে দিইনি। অন্য যারা ছিলেন, তারা সবাই সাংবাদিক ছিলেন।’ গাড়িবহরের বিষয়ে তিনি বলেন, সারা দেশে এই একই অবস্থা চলছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের আগে আচরণবিধি প্রযোজ্য নয়। এ কথা ধরলে তিনি (নিক্সন) দোষ করেননি। আবার নির্বাচন কমিশনের জারি করা আচরণবিধির সীমা অনুযায়ী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।’

আরো পড়ুন : হাইকোর্টে গিয়ে জিতলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *