ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হয়ে লড়াই করতে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ যুবক বিনিয়ামিন নিদহাম।
ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিদহাম ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের হয়ে গাজায় অভিযান সময় নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯ বছর বয়সি নিদহামের ইসরাইল ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। তিনি ১০ বছর আগে পরিবারের সঙ্গে ইসরাইল চলে যান। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের হামলার পর নিদহাম দ্বিতীয় ব্রিটিশ নাগরিক যিনি হামাসের হাতে নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলি সংবাদপত্র হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনা নিদহাম যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি পরিবারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে ছিলেন সবচেয়ে ছোট।
টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, নিদহাম কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের ৬০১তম ব্যাটালিয়নের সঙ্গে গাজায় অভিযানে গিয়েছিলেন। ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজায় দুই দিনের জন্য অভিযানে গিয়েছিলেন নিদহাম। সেই সময় অ্যাকশনে তার মৃত্যু হয়।
তার বোন অরলি ফেরিস বলেন, সে ছিল দুর্দান্ত ভাই। আমরা তাকে মনে রাখব। তিনি বলেন, কী ঘটেছে সেটি বিস্তারিত জানি না। তবে সে দুই দিনের জন্য গাজায় গিয়েছিল। শুক্রবারে সে গাজায় প্রবেশ করে এবং রোববারে তার মৃত্যু হয়।
সোমবার আইডিএফ জানিয়েছে, গাজায় রোববার যুদ্ধ অভিযানে তিন সেনা নিহত হয়েছেন। তাদের একজন নিদহাম। বাকি দুই সেনার নাম নেরিয়া শায়ের এবং বেন জুসম্যান।
আইডিএফ বলেছে, ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হাতে ৪০১ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে গাজায় স্থল অভিযানের সময়।
রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৩ জন। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।
এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা বলেছেন, দখলদার সেনাদের হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৩১৬ জন।
গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্তসংলগ্ন ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ সময় হামাস ইসরাইল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর মধ্যে যুদ্ধবিরতির সময় ১১০ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
নিহত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সংখ্যার বিষয়ে আল-কেদরা বলেন, ‘ইসরাইলের হামলায় মোট ২৮১ চিকিৎসক ও ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হন। তাদের আক্রমণে ৫৬টি স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো ও অ্যাম্বুলেন্স সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ২০টি হাসপাতাল ও ৪৬টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে ইসরাইলি হামলায়।
আরো পড়ুন : নাইজেরিয়ায় সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত ৮৫ জন