জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪১ জনকে সহকারী শিক্ষকের পরিবর্তে প্রধান শিক্ষক পদে গেজেটভুক্ত করার নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, সদ্য জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪১ জনকে জাতীয়করণ করার পূর্বের পদ প্রধান শিক্ষক পদে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সরকার ২০১৩ সালে সারা দেশের ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ তালিকায় আনে। পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি সরকারি শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়ে অফিস আদেশ জারি করে। এক্ষেত্রে যে শিক্ষকরা যে পদে নিয়োগ পেয়েছেন (জাতীয়করণের পূর্বে কমিটি কর্তৃক) তাদের জাতীয়করণের পর নিজ নিজ পদে অর্থাৎ প্রধান শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসাবে এবং সহকারী শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। কিন্তু উক্ত রিটকারীরা কমিটি কর্তৃক প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও তাদের জাতীয়করণের পর প্রধান শিক্ষকের পরিবর্তে সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা পূর্বের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক। তাই রিটকারীরা ওই আদেশে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষক পদের গেজেট প্রদানের জন্য ওই রিট দায়ের করেন।
তিনি বলেন, রুলের শুনানি শেষে রোববার এ রিটের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন হাইকোর্ট। মো. সোহাগ হোসেন, আবুল কাশেম, মোসা. কুলসুম, তপন কুমার হাওলাদার, শাহ ওয়ালিউল ইসলমসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৪১ জন এ রিট করেন।
আরো পড়ুন : এমপি হলে স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে ১৬ চিকিৎসক