অভিযান শুরু করার পর থেকে ‘ইউক্রেনের নেতারা ‘পুরোপুরি পাগল’ হয়ে গেছেন’

আন্তর্জাতিক জনপ্রতিনিধি তথ্য-প্রযুক্তি প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কো যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল ইউক্রেন থেকে রুশ বংশোদ্ভূত নাগরিকদের ওপর অব্যাহত নিপীড়ন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার পর থেকে দেশটির নেতারা সম্পূর্ণভাবে পাগল হয়ে গেছেন।

ক্রেমলিনে আয়োজিত ‘হিরো অব রাশিয়া’ পদকপ্রদান অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট পুতিন একথা বলেন। অনুষ্ঠানের ফাঁকে পুতিনের ভাষণের কিছু অংশ রোববার রাশিয়ার সাংবাদিক পাভেল জারুবিন প্রকাশ করেছেন। পুতিন বলেন, আমরা কখনই সামরিক অভিযানের মতো কিছু করতাম না, যদি তারা আমাদের ঐতিহাসিক অঞ্চলে রাশিয়াকে ধ্বংস করতে শুরু না করত, সেখান থেকে লোকদের বিতাড়িত না করত এবং রুশ বংশোদ্ভূত নাগরিকদের ইউক্রেনের অ-আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী ঘোষণা না করত।

পুতিন দৃশ্যত ইউক্রেনের আদিবাসী নাগরিক আইনের কথা উল্লেখ করেন যা ২০২১ সালে গৃহীত হয়। আইনটি শুধুমাত্র ক্রিমিয়ান তাতার, ক্রিমিয়ান কারাইটস এবং ক্রিমিয়ান ইহুদিদেরকে দেশটির আদিবাসী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউক্রেনে জাতিগত রুশ নাগরিকদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে বরং তাদের উচ্ছেদের জন্য নানা অত্যাচার নিপীড়ন চালানো হয়।

আইনটি রাশিয়ানদের আদিবাসী উপাধি প্রত্যাখ্যান করে অথচ রুশ বংশোদ্ভূত নাগরিকরা ছিল ইউক্রেনের জনসংখ্যার অন্তত এক-পঞ্চমাংশ। বিভিন্ন হিসাব অনুসারে জাতিগত হাঙ্গেরিয়ান এবং বেলারুশীয় নাগরিকরা দেশের পশ্চিম এবং উত্তরাঞ্চলে বসবাস করে। তারপরও ‘আদিবাসী’ আইন দ্বারা যে তিনটি জাতিগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেয়া হয় তারা প্রধানত ক্রিমিয়াতে বাস করে। ২০১৪ সালে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে আলাদা হয়ে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ রাশিয়ার সাথে যুক্ত হয়।

আরো পড়ুন : রফিক ও তার স্ত্রী সন্তানদের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *