নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আগের রাতে ভোটসহ যেসব কথাবার্তা হয়েছে আমরা ৯৯ নয়, শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি সেটি কোনো অবস্থাতেই হবে না। এ জন্য অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার সকালে যাবে।’ গতকাল বিকালে চট্টগ্রামের পিটিআই মিলনায়তনে সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টরা অবশ্যই দাঁড়িয়ে থেকে দেখে নেবেন ব্যালট বাক্সগুলো খালি আছে কি না। তারা ভোট শেষ হওয়ার পর গণনা ও ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। সবকিছু সঠিকভাবে হয়েছে কি না জানবেন। যদি গণনা যথাযথভাবে শেষ হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়ে গেল।’
ভোট কেন্দ্রে কোনো পেশিশক্তির উদ্ভব ঘটলে প্রিসাইডিং অফিসারকে ভোট বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার যদি বন্ধ না করেন রিটার্নিং অফিসার বন্ধ করে দেবেন। তিনিও যদি বন্ধ না করেন, আর আমরা ঢাকা থেকে অবহিত হলে সেখান থেকে বন্ধ করে দেব। আমাদের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে একটা অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেটি যাতে দূরীভূত হয়, এ জন্য কথাগুলো বললাম।’
তিনি বলেন, ‘একটি কথা কয়েকজন বলেছেন- ভোট দিয়ে কী লাভ, ভোট তো এক জায়গায় চলে যাবে। আবার কেউ কেউ নাকি মুখে মুখেও বলেছেন, আপনারা যে যেখানে ভোট দেন, ভোট জায়গামতো চলে আসবে। আমরা বিষয়টি শুনেছি। এর মধ্যে আমরা জেনে গেছি, এটি হয়তো ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার অথবা ভ্রান্ত ধারণা। ভোট যেখানেই দেন সেখান থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেটি আমরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি।’
সিইসি বলেন, ‘ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা ফুটে উঠবে মিডিয়ার মাধ্যমে। কারণ মিডিয়ার কর্মীরা ভোট কেন্দ্রের বাইরে এবং ভিতরেও থাকবেন। ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে না। তারা সরাসরি ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে এবং ভিতরে ঢুকে সব ছবি তুলতে পারবেন। সত্য-মিথ্যা জনগণকে জানাতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অ্যাপস তৈরি করেছি যেখানে দুই ঘণ্টা পর পর প্রতিটি কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়ল সেখানে ইনপুট দেওয়া হবে। মোবাইলের মাধ্যমে অ্যাপস ডাউনলোড করে সেটা সবাই জানতে পারবেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ১০টার সময় দেখা গেল ১০ শতাংশ ভোট পড়ল। কিন্তু ১২টার দিকে গিয়ে হঠাৎ ৮০ শতাংশ হয়ে গেল। এটি বিশ্বাসযোগ্য হবে না। এ জন্য আমরা বিভিন্ন পরিমাপক নিয়েছি। যাতে ভোট গ্রহণের সত্যতা মানুষের মাঝে ফুটে ওঠে।’