জাতীয় নির্বাচনের পর নিষেধাজ্ঞা আসা না আসা নিয়ে এখনই অস্থির হওয়ার বা ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিকাব) সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচনের পর নিষেধাজ্ঞা আসবে কি না, এ নিয়ে সরকারের কোনো প্রস্তুতি আছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা সবচেয়ে খারাপটা চিন্তা করবো কেন? আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির কথা, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। নির্বাচন কমিশন সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, কাজ করে যাচ্ছে। আমরাও আশা করছি, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সেজন্য আমরা সবাই কাজ করছি।
তিনি বলেন, আশা করছি নির্বাচন ভালো হবে। আর নির্বাচনের সময় যদি কোনো রকমের সমস্যা হয়, সেটা তখন আমরা দেখবো। আমরা এই মুহূর্তে মনে করছি না, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। যদি সে রকম পরিস্থিতি (নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়) আসে, তখন আমরা নিশ্চয়ই পদক্ষেপ নেবো। আগে থেকে আমরা কেন চিন্তা করবো?
এক প্রশ্নের উত্তরে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমরা আশা করছি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কোনো পার্টিকুলার (নির্দিষ্ট) দেশ যদি মনে করে, নিষেধাজ্ঞার ইস্যু যদি আসে, তখন আমরা সেটি দেখব। এর জন্য এখনই অস্থির হয়ে যাওয়া বা প্যানিক (ভীতি) সৃষ্টির কোনো কারণ তো আমরা দেখছি না।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, সমস্যা টুকটাক থাকবে। এ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো দেশ কী ভাবলো বা কী করলো, তা নিয়ে আসলে এত দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। আমরা নিজেরা যদি ঠিক থাকি, নির্বাচন যদি আমরা সুষ্ঠু করতে পারি, ভোটাররা যদি ভোট দেন। আমরা চাই না নির্বাচনে সংঘাত হোক। তারপরও অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি স্থানীয়ভাবে সংঘাত হতে। এটাকে কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি দেশে তাদের সার্বভৌমত্বের বিষয় আছে। আমরা সবাইকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য স্বাগত জানিয়েছি। তারা নির্বাচন প্রক্রিয়া দেখবে, সবকিছু দেখবে। কমনওয়েলথ থেকে বড় একটি টিম আসছে। শহরে এনডিআই, আইআরআই টিম রয়েছে, ইইউর টিম রয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেক পর্যবেক্ষক আসবে। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে।
আরো পড়ুন : কক্সবাজারে নিরাপত্তা চেয়ে সিইসির কাছে ১৫ জন প্রতিনিধির আবেদন