ইসলামিক জীবনে শপথ ভঙ্গের কাফফারা কী?

ওকে নিউজ স্পেশাল জাতীয় ধর্ম প্রচ্ছদ মনোকথা লাইফ স্টাইল শিক্ষা হ্যালোআড্ডা

নূরের চালা, বারিধারা, ঢাকা

প্রশ্ন : আমি এই মর্মে শপথ করেছিলাম যে, ‘বার্ষিক পরীক্ষায় ফেল করলে আমি আর লেখাপড়া করব না।’ বাস্তবে ফেল করেছি কিন্তু মা-বাবার চাপে এখন অবার যথানিয়মে লেখাপড়া করছি। জুমার বয়ানে শপথ ভঙের শাস্তি শুনে খুবই ভয় পাচ্ছি। আমি এখন কী করব?

হাবীবুল্লা মিয়াজী :   উত্তর : আল্লাহতায়ালা অসীম দয়ালু। তার তওবার দরজা বান্দার জন্য সব সময় খোলা। আপনি কায়মনে তাওবা করুন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ আপনার তওবা কবুল করবেন। তবে মনে রাখবেন কথায় কথায় আল্লাহর নামে শপথ করা খুব বাজে স্বভাব। শপথ করলে তা অবশ্যই পূরণ করতে হয়। আর তা পূরণ করতে না পারলে ‘কাফফারা’ আদায়ের সুযোগ রেখেছে ইসলাম।

কসম বা শপথ ভঙ্গের বা পূর্ণ না করার কাফফারা হচ্ছে দশজন ফকির-মিসকিনকে খাবার খাওয়ানো। খাবারের মান হবে নিজের পরিবারের লোকজন যেমন খাবার খেয়ে থাকে তেমন। অথবা দশজন ফকির-মিসকিনকে কাপড় দেওয়া। প্রত্যেককে কমপক্ষে এতটুকু কাপড় দেওয়া-যার দ্বারা নামাজ আদায় করা যায়। যদি এর কোনোটি সম্ভব না হয়, তা হলে ধারাবাহিকভাবে তিন দিন রোজা রাখা। (হেদায়া : ২/৪৮১)।

পবিত্র কুরআনের সূরা মায়েদার ৮৯নং আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আল্লাহতায়ালা অনর্থক কসমের জন্য তোমাদের দায়ী করবেন না। কিন্তু যেসব কসম তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে করো, সেসবের জন্য তিনি তোমাদের দায়ী করবেন। এর কাফফারা হচ্ছে, দশজন ফকির-মিসকিনকে মধ্যম ধরনের খাবার দান, যা তোমরা তোমাদের পরিজনদের খেতে দাও।

অথবা তাদের কাপড় দান কিংবা একজন কৃতদাস মুক্তি। আর যার সামর্থ্য নেই, তার জন্য তিন দিন রোজা রাখা। এটাই তোমাদের কসমের কাফফারা।’ উল্লেখ্য দাসপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ায় কৃতদাস মুক্তির মাধ্যমে এখন আর কাফফারা দেওয়া যায় না।

আরো পড়ুন : ঘোষণা ছাড়াই চট্টগ্রামে গ্যাস বন্ধ করায় বিপাকে মানুষ

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *