ব্যয় করার খাত খুঁজে না পাওয়ায় ৩০০ কোটি টাকা বিলিয়ে দিতে লোক খুঁজছেন তরুণী

অর্থনীতি আন্তর্জাতিক ওকে নিউজ স্পেশাল তথ্য-প্রযুক্তি নারী প্রচ্ছদ মুক্তমত লাইফ স্টাইল শিক্ষা হ্যালোআড্ডা

মারলিন এংগেলহর্ন (৩১) নামের এক অস্ট্রো-জার্মান তরুণী উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা) বিলিয়ে দিতে লোক খুঁজছেন বলে জানা গেছে। এই সম্পদের উত্তরাধিকারী পেতে অভিনব উপায় খুঁজছেন এই কোটিপতি। মারলিনের দাদি ত্রদেল এংগেলহর্ন–ভেচিয়াত্তের কাছ থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণের এ সম্পদ ব্যয় করার কোনো খাত খুঁজে পাচ্ছেন না ।

বর্তমানে ভিয়েনার বাসিন্দা মারলিন, জার্মানির রাসায়নিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বিএএসএফের প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেডরিখ এংগেলহর্নের বংশধর। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দাদি মারা যাওয়ার পর এংগেলহর্ন উত্তরাধিকার সূত্রে বিপুল পরিমাণ অর্থ পান। এই অর্থ নিজে ভোগ না করে বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মারলিন। এ লক্ষ্যে তিনি গুড কাউন্সিল ফর রিডিস্ট্রিবিউশন নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছেন যেখানে অস্ট্রিয়ার নাগরিকদের অংশ নিতে বলেছেন।

মারলিন বলেন, ‘আমি কোনো ধরনের শ্রম না দিয়েই উত্তরাধিকার সূত্রে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও ক্ষমতা পেয়েছি। আর রাষ্ট্র এ সম্পদের ওপর কোনো করও নিচ্ছে না।’ গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ১৬ বছর বয়স বা এর বেশি বয়সের ১০ হাজার মানুষকে মারলিনের এ উদ্যোগে অংশ নিতে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়। এদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সের, প্রদেশের, সামাজিক শ্রেণির এবং পেশার ৫০ জনকে বেছে নেওয়া হবে। তাঁরা সমাজের কল্যাণে অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনা তৈরি করবেন।

যাদের চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে তাদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক হবে। প্রতি সপ্তাহান্তে তারা প্রত্যেকে পাবেন ১ হাজার ২০০ ইউরো। প্রয়োজন অনুসারে, তাদের শিশুর দেখভাল করা এবং দোভাষীরও ব্যবস্থা করা হবে। এভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়াকে ‘গণতন্ত্রের সেবা’ বলেই মনে করছেন মারলিন।

তবে এ ৫০ জন অর্থ ব্যয়ের উপায় হিসেবে কোনো ধরনের সিদ্ধান্তে আসতে না পারেন তবে এ অর্থ এংগেলহর্ন পরিবারের কাছেই আবার ফিরিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে অস্ট্রিয়া সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির ওপর থেকে কর প্রত্যাহার করে নেয়। তাই এখন আর এসব সম্পত্তির ওপর কর দিতে হয় না। সূত্র : বিবিসি।

আরো পড়ুন : মালয়েশিয়ায় ২০৫ বাংলাদেশিসহ ৫৬১ জনকে আটক

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *