প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনা এক থেকে দেড় মিনিটের একটি পরিকল্পিত মিশন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া নিহত মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুর শরীরে ১২টি গুলি লেগেছে বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪)। একই ঘটনায় নিহত হন যানজটে সড়কে আটকে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি (২৪)। গুলিতে টিপুর গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্নাও আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঠাকুর দাশ সমকালকে বলেন, এক থেকে দেড় মিনিটের একটি কিলিং মিশন ছিল এটি। মুহূর্তের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। এতে টিপুর শরীরে অন্তত ১২টি গুলি লেগেছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের কথাও বলেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এদিকে নিহত কলেজছাত্রীর বাবা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আমার মেয়ের পিঠের বাঁ পাশে গুলি লেগেছে। তাকে একটা গুলি লাগার ছবি দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার শাহজাহানপুর থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পিন্টুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ের ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেছেন।
কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। মোটরসাইকেল আরোহী খুনি আগে থেকেই টিপুর গাড়িকে অনুসরণ করে আসছিল। এ নিয়ে ওই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আবদুল আহাদ সমকালকে বলেন, রাতে ব্যক্তিগত মাইক্রোবাসে (ঢাকা মেট্রো চ-২০-০৩৮০) বাসার দিকে যাচ্ছিলেন টিপু। খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ের আগের সিগন্যালে আটকে ছিল তার গাড়ি। তখন মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরিহিত এক ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে মুহূর্তের মধ্যে অনবরত গুলি চালায়। এতে তিনি ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় পাশের রিকশায় থাকা এক তরুণীও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক টিপু ও ওই তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন।