দিনাজপুর প্রতিনিধি : আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে দিনাজপুর। হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতের দাপটে কাহিল দিনাজপুরবাসী। সূর্যের দেখা মেলায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করা হলেও হাইস্কুলগুলো খোলা ছিল।
সোমবার সকাল ১০টার পর দিনাজপুরে দেখা দেয় সূর্য। তাপমাত্রা কমলেও সূর্যের আলোয় উষ্ণতার পরশ পেয়ে স্বস্তি পায় সাধারণ মানুষ।
এদিকে, কুয়াশা কিছুটা কম থাকলেও দিনাজপুরে দাপট ধরে রেখে জনজীবন বিপর্যস্ত করে রেখেছে শীত। নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশি বিপাকে। রাত হলেই নেমে আসছে তাপমাত্রার পারদ।
সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তাপমাত্রা ১০-এর নিচে থাকায় সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম জানান, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সকল স্কুলের পাঠদান বন্ধ রাখলেও অন্যান্য অফিশিয়াল কার্যক্রম চালু আছে।
অপরদিকে দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল ১০টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলো বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। বাতাসের গতি ২ নটস। এটিই ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শীতের তীব্রতা বাড়বে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
আরো পড়ুন : ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সামরিক শক্তি থাকবে তা মেনে নিতে চান না নেতানিয়াহু