দেশে মেগাপ্রকল্প বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইলিংয়ের গুরুত্বও বাড়ছে বলে জানিয়েছে প্রকৌশলীদের পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)।
রোববার রাজধানীর রমনাস্থ আইইবি ভবনে এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা একথা জানান।
প্রকৌশল বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাইলিং করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকৌশলীরা পাইলিং কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এজন্য পাইলিং করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কারিগরি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করে করতে হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর এমপি বলেন, নির্মাণকাজে পাইলিং যে কত গুরুত্বপূর্ণ, দেশ যত উন্নত হচ্ছে ততই অনুধাবন করতে পারছি আমরা। বিশেষ করে জিও টেকনিক্যাল প্রকৌশলীরা এ কাজগুলো করেন। এখন তাদের প্রয়োজন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যখনই আমরা মেগাপ্রকল্পগুলো করছি, এখানে পাইলিং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্বের দ্বিতীয় খরস্রোতা পদ্মায় পাইলিং করেছি, ফলে এটার গুরুত্ব ক্রমশই বাড়ছে।
তিনি বলেন, এখন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক বর্তমানে চার লেন, এটা ৮ লেন, ১২ লেন হবে। এখানে অনেক লোড তৈরি হবে। অনেকগুলো ফ্লাইওভার হবে, ইন্টারসেকশন হবে। অনেক জায়গায় মাটি দুর্বল রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করার বিষয় রয়েছে। সে জায়গায় এই আলোচ্য বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি; আগামীতে উন্নত দেশ হব। ফলে আমাদের অবকাঠামো নির্মাণে পাইলিংয়ের গুরুত্ব বাড়তে থাকবে।
আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এসএম মনজুরুল হক মঞ্জু বলেন, ভবনের ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে আমরা মনোযোগ দেই না। তবে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই প্রবন্ধ উপস্থাপন থেকে আমরা উপকৃত হব।
আইইবি’র পুরকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সৌমিত্র কুমার মুৎসুদ্দির সভাপতিত্বে সেমিনারের আলোচনায় অংশ নেন, আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মনজুর মোর্শেদ ও মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, আইইবির পুরকৌশল বিভাগের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ শিহাবুর রহমান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মঈনুল হাসান, আইইবি পুরকৌশল বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সতীনাথ বসাক।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিওটেকনিক্যাল প্রকৌশলী ড. এএইচএম কামরুজ্জামান।
আরো পড়ুন : মন্ত্রীকে প্রথম রাতেই বিড়াল মারতে বললেন চুন্নু