স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদনের শুনানি আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল বুধবার শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা (আবেদনকারী) সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে। যারা আন্দোলন করছে তাদের পক্ষে নয়। আমরা হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছি। আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।’ এর আগে সকালে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত থেকে আবেদনের অনুমতি নেন আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে শাহ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে যে আবেদন করেছে, তা বিচারাধীন। এটি থাকা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভুইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান দু’জন মিলে চেম্বার কোর্টের অনুমতি নিয়ে একটি সিএমপি (হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে) ফাইল করছেন।
দুপুর দুইটায় এই আবেদনের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হবে। এরআগে গত ৪ জুলাই সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি ‘নট টুডে’-(আজ নয়) বলে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
গত ৫ জুন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এক রিটে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন। এর ফলে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল হলো বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। এর আগে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
তারও আগে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা রয়েছে ১০ শতাংশসহ আরও কিছুসংখ্যক কোটা বিদ্যমান ছিল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা থেকে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম গ্রেড থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে সব ধরনের কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করা হয়।
আরো পড়ুন : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্লিপ দিয়েই প্রতি রাতে লাখ লাখ টাকা চাঁদা