বিনোদন প্রতিবেদক: ইভ্যালির গ্রাহকের প্রতারণা মামলা থেকে তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। অব্যাহতি পাওয়া অন্য দুই জন হলেন- ইভ্যালির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা এস এম আরিফ রেজা হোসাইন ও এক্সিকিউটিভ অপারেশন আবু কায়েস। রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক তাদেরকে অব্যাহতি দেন।
তবে ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেছেন আদালত। চার্জশিটভুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন ইভ্যালির ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে আকাশ ও ক্যাটাগরি হেড মোহাম্মদ আবু তাহের ওরফে সাদ্দাম।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির হয়ে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে পুলিশ।
অন্যদিকে, ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
তারও আগে গত বছরের ২১ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের নামে মামলার আবেদন করেন সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি থানাকে মামলার অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানা মামলার অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নেয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন কথায় আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এই তারকাদের কারণে তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
ইভ্যালিতে অভিনেতা তাহসান খান শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ছিলেন। আর মিথিলা ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ‘ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল’। প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন শবনম ফারিয়া।