ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগে বিক্ষোভ করেছেন দেশটিতে বসবাসরত রাশিয়ান নাগরিকরা। এ সময় তারা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান এবং যুদ্ধবিরোধী স্লোগান-সংবলিত প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন বহন করেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ছবির ওপর ‘খুনি’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ‘যুদ্ধ চাই না’ স্লোগান দেন তারা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে প্রায় তিন হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। তারা মধ্য প্রাগের ‘পিস স্কয়ার’ থেকে মিছিল শুরু করেন। কিছুসংখ্যক বিক্ষোভকারী প্রাগে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের সিঁড়িতে প্রতীকী রক্ত বোঝাতে লাল রং ছিটিয়ে দেন।
বিক্ষোভে বাবার সঙ্গে অংশ নেন ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আলেক্সান্ডার সিবরিমভ। তিনি বলেন, ‘আমরা পুতিনের বিরুদ্ধে। আমরা তার রাজনীতির সঙ্গে একমত নই। ইউক্রেনে যা ঘটছে, তা ঠিক নয়- বিশ্বকে সেটা দেখানোর এটাই উপায়।’
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সাবেক সেনা ওলেগ গোলোপিয়াতভ ১৫ বছর ধরে প্রাগে আছেন। তিনি বলেন, ‘রুশ বলেই আমরা যুদ্ধের পক্ষে, বিষয়টি এমন নয়। আমরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে। ইউক্রেন একটি স্বাভাবিক রাষ্ট্র। এখন যা ঘটছে, তা ভয়ংকর।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। প্রতিবেশী দেশটিকে ‘নিরস্ত্রীকরণ ও নাৎসিমুক্ত করতে’ এই ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানোর দাবি করেছে মস্কো। তবে বিনা উসকানিতে হামলার ক্ষেত্র তৈরি করতেই এই ভিত্তিহীন অজুহাত দেওয়া হচ্ছে বলে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা অভিযোগ করেছে।
চেক রিপাবলিকে ৪৫ হাজার রুশের বসবাস, যা সাবেক কমিউনিস্ট-শাসিত দেশটিতে চতুর্থ বৃহৎ সম্প্রদায়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর আগে চেক রিপাবলিকে দুই লাখ ইউক্রেনীয়র বসবাস ছিল। হামলার পর নতুন করে তিন লাখ ইউক্রেনীয় দেশটিতে পালিয়ে এসেছে বলে ধারণা করছে চেক সরকার।